মক্কা থেকে বিদায়ের আগে হাজিদের মূল কাজ কী?
শারীরিক ও আর্থিক সামর্থবানদের জন্য হজ আদায় করা ফরজ। তবে আল্লাহর এ নির্দেশ পালনে এমন কোনো কাজ করা যাবে না; যে কাজে ইসলামি শরিয়তের কোনো অনুমোদন নেই।
তবে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর মক্কা থেকে নিজ নিজ দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে অবশ্যই তাওয়াফে বিদা বা বিদায়ী তাওয়াফ করতে হবে। যা পালন করা ওয়াজিব বা আবশ্যক।
হাজিগণ হজ পালনের পর যতদিন পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থান করবে তত দিন-
- বেশি বেশি জিকির-আজকার করবেন।
- নফল নামাজ আদায় করবেন।
- বেশি বেশি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবেন।
সর্বোপরি মসজিদে হারামে সব সময় আমলে সালেহ তথা ভালো কাজ বেশি বেশি করা। কেননা মসজিদে হারামে ভাল কাজের সাওয়াব অনেকগুণ বেশি।
কোনোভাবেই অন্যায় ও খারাপ করা যাবে না। এতে থেকে সাবধান থাকা জরুরি। কারণ ভালো কাজের প্রতিদান যেমন বেশি, তেমনি যদি মসজিদে হারামের সীমানায় কেউ অন্যায় কাজ করে তবে তার পরিণতিও অত্যন্ত গুরুতর হয়ে থাকে।
বাইতুল্লায় অবস্থান কালে প্রত্যেক হাজিকে নেক আমলের সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরূদ ও সালাম পেশ করাও সর্বোত্তম কাজ।
আরও পড়ুন > হজ পালন শেষে দেশে ফেরা হাজিদের বিশেষ আমল
হজ পালনকারীগণ যখন পবিত্র নগরী মক্কা ত্যাগ করবেন তখন অবশ্যই পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ সম্পন্ন করবেন। তবে ঋতুবর্তী ও নেফাসওয়ালী নারীদের জন্য তা প্রযোজ্য নয়। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন ‘লোকদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের শেষ সময়টি যেন সমাপন হয় বায়তুল্লাহে কিন্তু হায়েজা ঋতুবতী নারীদেরকে এ বিষয়ে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখ্য যে, হাজিগণ যখন বাইতুল্লাহ থেকে বিদায়ী তাওয়াফ করে বাহিরে বের হয় তখন অনেকেই কাবার দিক মুখ করে পিছনের দিকে হেটে আসে। এমনটি কোনোভাবেই উচিত নয়। প্রিয়নবি ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ করার কোনো প্রমাণ নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সেসব হাজিদেরকে বেশি বেশি আমলে সালেহ করার তাওফিক দান করুন, যারা হজ পরবর্তী সময়ে পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থান করছেন। অতঃপর দেশে ফিরে আসার আগে প্রত্যেককে বিদায়ী তাওয়াফ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম