ফজর ও আসর নামাজ শেষ মুহূর্তে পড়লে কি হবে?
ফজর ও আসর নামাজের সময় শেষ হয়ে গেছে ভেবে শেষ মুহূর্তে অনেকেই নামাজ পড়ে না। আবার অনেকেই ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু সময় নামাজ পড়া মাকরূহ বলে থাকে। মূলত কেউ যদি নির্ধারিত ওয়াক্তে এক রাকাআত পরিমাণ নামাজ পড়ার সময় পায় তবে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
ফজর ও আসর নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ ফজরের সময় মানুষ ঘুমে থাকে আর আসরের সময় পেশাজীবীরা কর্মব্যস্ত এবং অন্যরা চিত্ত বিনোদনে ব্যস্ত থাকে। তাই এ সময়টিতে নামাজ আদায় করা অনেকের জন্য কষ্টকর।
সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করার ফজিলত অনেক বেশি। কিন্তু কোনো কারণ বশত কেউ যদি প্রথম ওয়াক্তে নামাজ আদায় করতে না পারে। ভুলে কিংবা ঘুমের কারণে যদি কেউ প্রথম ওয়াক্তে নামাজ আদায় করতে না পারে তবে যখন মনে হবে কিংবা জেগে ওঠবে তখনই নামাজ আদায় করে নিবে।
কিন্তু যখন কোনো লোকের ফজর বা আসরের নামাজের কথা এমন সময় মনে হলো যখন নামাজের সময় একেবারেই শেষ মুহূর্তে। সে সময়ের নামাজ সম্পর্কে হাদিসে পাকে প্রিয়নবি ঘোষণা করেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার আগে এক রাকাআত (ফরজ নামাজ) পেল, সে ফজরের নামাজ পেল। আর যে ব্যক্তি সূর্য ডোবার আগে আসরের এক রাকাআত নামাজ পেল, সেও আসরের নামাজ পেল।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
আরও পড়ুন > ফজরের নামাজ জামাআতে পড়লে যে উপকার হয়
উল্লেখিত হাদিসের সুবিধা তাদের জন্যই প্রযোজ্য, যারা অনিচ্ছায় নামাজের কথা ভুলে গিয়েছিল কিংবা ঘুমের কারণে সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করতে পারেনি।
সুতরাং ফজর ও আসরের নামাজ নির্ধারিত ওয়াক্তের শেষ মুহূর্তে এক রাকআত পেলেই পরিপূর্ণ নামাজ পাওয়া হিসেবে গণ্য হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফজর ও আসরের নামাজের প্রতি অবহেলা না করে গুরুত্ব সহকারে যথা সময়ে ফজর ও আসর নামাজসহ প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজ যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর