হজ কাফেলায় সঙ্গীদের যা খেয়াল রাখা জরুরি
সারা বিশ্ব থেকে হজ উপলক্ষে লাখ লাখ মুসলমান একত্রিত হয়। এ দিনগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভীড় থাকায় অন্যান্য সময়ের মতো স্বাভাবিক চলাফেরা সম্ভব হয় না। তাই কাফেলা ভিত্তিক চলাফেরায় রয়েছে অনেক উপকারিতা।
সহজ চলাচল ও নিরাপত্তার স্বার্থে সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ নানান দিক-নির্দেশনামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। যাতে অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা করা সবার জন্যই আবশ্যক।
কাফেলার সঙ্গে থাকা দিনগুলোতে এমন কোনো কাজ করা যাবে না। যার ফলে এক জনের অসুবিধার জন্য কাফেলার অন্যদের সমস্যায় পড়তে হয়। কাফেলার সঙ্গীদের পারস্পরিক সহযোগিতায় যে বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার; তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা তুলে ধরা হলো-
> কাফেলার কোনো সদস্য মুয়াল্লিম বা কাফেলা প্রধানের অনুমতি ছাড়া কোথাও না যাওয়া। আত্মীয়-স্বজন বা বাহিরে গেলে লিখিত অনুমতি নিয়ে যাওয়া। তবে কাফেলার নির্ধারিত ব্যবস্থার বাইরে হাজিদের অন্য কোথাও থাকার অনুমতি নেই।
> হজ কাফেলার কোনো হাজি হোটেলে বা বাড়িতে নিজ ব্যবস্থাপনায় রান্না করা বা জামা-কাপড় ইস্ত্রি করতে পারবে না।
> বাংলাদেশ সরকার ও মুয়াল্লিম অফিস থেকে সরবরাহকৃত কব্জি বেল্ট ও মুয়াল্লিম কার্ড সব সময় নিজেদের সঙ্গে রাখা জরুরি। কেউ হারিয়ে গেলে এ কব্জি বেল্ট ও মুয়াল্লিম কার্ডের মাধ্যমেই কাফেলায় ফেরা সম্ভব হবে।
> হোটেল বা বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার সময় একা একা না যাওয়াই উত্তম। সব সময় কাফেলার সঙ্গে দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করা।
> হজ ওমরা জিয়ারতের যাবতীয় কাজ- বাইতুল্লায় তাওয়াফ, নামাজের জামাআতে অংশগ্রহণ, সাফা-মারওয়ায় সাঈ, আরাফাতের ময়দানে গমন, মিনায় অবস্থান, মুজদালিফায় রাত যাপন এবং শয়তানেক কংকর নিক্ষেপসহ সব জায়গায় বেশি মালামাল না নেয়া।
> হজের সফরে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।
আরও পড়ুন > হজে তামাত্তু : যেভাবে আদায় করবেন
> খালি পায়ে না হাঁটা। কারণ এতে পায়ে ফোসকা পরতে পারে। তাই প্রয়োজনে সেন্ডেল রাখার জন্য ছোট ব্যাগ সঙ্গে রাখা।
> হজের সফরে বাইরে অবস্থানকালে ছাতা ব্যবহার, প্রচুর পানি ও ফলের রস পান করা। চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।
> পরিবেশ রক্ষায় হোটেলে বা বাইরে সব সময় ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলা।
> কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করলেই সঙ্গে সঙ্গে কাফেলার সঙ্গী তথা মুয়াল্লিমকে অভিহিত করা এবং বাংলাদেশ হজ অফিস কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্য ক্লিনিকে দ্রুত যোগাযোগ করা।
সুন্দর ও সঠিকভাবে হজ পালনে কাফেলার প্রত্যেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ও ধৈর্য ধারণ করা যেমন জরুরি। ঠিক তেমনি হজ পালনে ইচ্ছুকদের উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেয়ায়ও জরুরি।
আল্লাহ তাআলা হজের এ দীর্ঘ সফরকে হজ পালনকারীদের জন্য সহজ করে দিন। হজ পালনকারীদেরকে হজের নিয়ম-কানুনগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।
এমএমএস/পিআর