স্ত্রীর দান-সাদকায় স্বামী যে কারণে সাওয়াব পাবে
দান-সাদকা করা উত্তম ইবাদত। দান-সাদকায় মানুষের বিপদ-আপদ যেমন দূর হয়; তেমনি দান-সাদকায় মানুষের অসুখের চিকিৎসাও হয়ে থাকে। এ দান-সাদকার সাওয়াব লাভের ধরণও আলাদা।
স্বামীর সম্পদ যদি স্ত্রী দান করে তবে উভয়ের জন্য রয়েছে সাওয়াব। তবে সাওয়াবের ধরণে রয়েছে বৈপরিত্য। তাদের উভয়কে একই কাজে ভিন্ন ইস্যুতে সাওয়াব প্রদান করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘স্বামীর ঘর থেকে স্ত্রী কোনো কিছু দান করলে এতে তার সাওয়াব হয়। স্বামীরও সমপরিমাণ সাওয়াব হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণকারীরও সমপরিমাণ সাওয়াব হয়। এতে একজন অন্যজনের কিছু পরিমাণ সাওয়াবও কমাতে পারে না। স্বামীকে তার উপার্জনের জন্য আর স্ত্রীকে (দান-সাদকায়) খরচের জন্য সাওয়াব দেয়া হয়।’ (তিরমিজি, বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)
অন্য হাদিসে দান-সাদকায় স্ত্রীদের করণীয় তুলে ধরে প্রিয়নবি বলেন-
হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘স্বামীর ঘর থেকে যে মহিলা কোনোরূপ অপচয় না করে এবং খুশি মনে কোনো কিছু দান করে; সে স্বামীর সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করে। তার (স্ত্রীর) সৎ উদ্দেশ্যের জন্য সে সাওয়াব পাবে এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী একই পরিমাণে সাওয়াব অর্জন করবে।’ (তিরমিজি)
আরও পড়ুন > সাদকার মাধ্যমে চিকিৎসা
স্ত্রীদের নিজের সম্পদ না থাকলে স্বামীর সম্পদ থেকে ইনসাফপূর্ণভাবে দান-সাদকায় রয়েছে অনেক সাওয়াব। তবে শর্ত হলো এতে কোনোভাবে স্বামীর সংসারের হক যেন নষ্ট না হয়।
আবার স্বামীদেরও উচিত স্ত্রীদেরকে দান-সাদকায় উৎসাহিত করা। স্ত্রী যদি দান-সাদকার পাশাপাশি স্বামীর সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণও করে তাতেও রয়েছে তাদের জন্য সাওয়াব।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব স্ত্রীদেরকে স্বামীর সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি গরিব-অসহায়দের মাঝে ইনসাফের সঙ্গে দান-সাদকা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস