নারীর জন্য জান্নাতের সব দরজাই খোলা
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন, একবার ঈদুল ফিতরের দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে গিয়ে উপস্থিত মহিলাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন- ‘হে নারী সম্প্রদায়! দান খয়রাত কর; কেননা আমাকে জানানো হয়েছে যে, দোজখের অধিকাংশ অধিবাসী তোমাদের নারীদের অন্তর্ভূক্ত।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আবার অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, ‘যে নারী (নিয়মিত)
>> পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে;
>> রমজানের রোজা রাখবে;
>> স্বীয় গুপ্তস্থানের হেফাজত করবে ( পর্দা পালনসহ নিজেকে ব্যভিচার থেকে বিরত রাখবে) এবং
>> স্বামীর আনুগত্য করবে।
এমন নারীদের জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে নারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (তিরমিজি ও তাবরানি)
আরও পড়ুন > রোজায় ইফতার বিতরণ ও আর্থিক অনুদানের তাৎপর্য
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসের আলোকে কোনো নারী যদি তার ওপর অর্পিত উল্লেখিত ৪টি কাজ যথাযথভাবে পালন করে; ওই নারীর জন্য জান্নাতের সবকটি দরজাই খোলা থাকবে।
হাদিসের ভাষ্য মতে, নারীদের এ ৪টি কাজের মধ্যে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত সব বিধানই পালন করা হয়ে যায়। সুতরাং হতাশা নয়, হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেকে নারীর উচিত, উল্লেখিত ৪টি কাজ যথাযথভাবে আদায় করার পাশাপাশি বেশি বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ সব নারীদেরকে উল্লেখিত হাদিসের আলোকে নামাজ, রোজা, চরিত্র ও স্বামীর আনুগত্য করার তাওফিক দান করুন। জান্নাতের সব ক’টি দরজাই তাদের জন্য সুনিশ্চিত থাকুক। আমিন।
এমএমএস/এমএস