ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

শুধুমাত্র রোজার কাজা আদায় করবেন যারা

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, ২৫ মে ২০১৮

পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। কোনো ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে গেলে রমজানের পর ওই রোজার কাযা আদায় করতে হবে। তবে যে সব কারণে রোজার কাজা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করতে হবে তা ইতিপূর্বে তুলে ধরা হয়েছে।

এখানে যে সব কারণে শুধুমাত্র রোজার কাজা আদায় করতে হবে; তা তুলে ধরা হলো-

>>ভুলে কিছু খাওয়া
অজু বা গোসলের সময় রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে। সে ক্ষেত্রে রমজানের পর ওই রোজার কাযা করতে হবে।

>> হায়েজ-নেফাস হলে
রোজা অবস্থায় নারীদের হায়েজ (ঋতুস্রাব) বা নেফাস (সন্তান ভূমিষ্ট) শুরু হলে রোজা ভেঙে যাবে। পরে হায়েজ ও নেফাস থেকে পবিত্র হলে তার কাযা আদায় করতে হবে।

তবে, যে হায়েজা (ঋতুস্রাবী) নারী সুবহে সাদেকের পর পবিত্রতা লাভ করেছে; তার সম্পর্কে ইবরাহিম নাখঈ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, সে সারাদিন আহার করা থেকে বিরত থাকবে যাতে (রমজানে দিনের বেলায় পানাহারের কারণে) অমুসলিমদের সাথে সাদৃশ্য সৃষ্টি না হয়।

>> ক্ষত স্থানে ওষুধ লাগালে
রোজার দিন মাথার এমন ক্ষত স্থানে ওষুধ লাগালে রোজা ভেঙে যাবে, যা দিয়ে ওষুধ মস্তিষ্কে চলে যায়। একান্ত প্রয়োজনে এমন স্থানে ওষুধ লাগালে, রোজার পরে তার কাযা আদায় করে নিতে হবে।

>> ওষুধ পেটে চলে গেলে
- পেটের ভেতরে ওষুধ লাগালে যদি তা পেটের ভেতরে চলে যায় তবে রোজা ভেঙে যাবে। একান্ত প্রয়োজনে এমন ক্ষতস্থানে ওষুধ লাগালে পরবর্তী সময়ে রোজার কাযা আদায় করে নিতে হবে।

- নাকে ওষুধ বা পানি দিলে তা যদি খাদ্যনালিতে চলে যায় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং রোজার কাযা আদায় করতে হবে।

- পায়খানার রাস্তার ভেতরে ওষুধ বা পানি ইত্যাদি গেলে রোজা ভেঙে যাবে। সে ক্ষেত্রে রোজার কাযা আদায় করে নিতে হবে।

>> সময় আছে ভেবে রোজা ভঙ্গের কাজ করলে
সুবহে সাদেকের পর সাহরির সময় আছে ভেবে পানাহার বা স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে। তেমনি ইফতারির সময় হয়ে গেছে ভেবে সূর্যাস্তের আগেই ইফতার করলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

>>রোজা ভেঙে গেছে ভেবে পানাহার করলে
- রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করায় রোজা নষ্ট হয়ে গেছে ভেবে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে; সে ক্ষেত্রে রোজা কাযা আদায় করা জরুরি হবে।

- বমি হওয়ার কারণে রোজা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে রোজা ভেঙে ফেললে কাযা করতে হবে।

উল্লেখিত বিষয়গুলো ঘটে গেলে রোজায় কাফফারা দিতে হবে না শুধুমাত্র রোজার কাজা আদায় করলেই চলবে।

আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি মুসলিম উম্মাহকে বিশেষ খেয়াল রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

আরও পড়ুন