বর্ণিল সাজে চট্টগ্রামে কাগতিয়া গাউছুল আজমের ওরছ
চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে ৬৫তম পবিত্র মি'রাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিল ও দরবারের প্রতিষ্ঠাতা, খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হু’র সালানা ওরছে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উপলক্ষে ঈছালে ছাওয়াব মাহফিল শুরু হয়েছে।
কাগতিয়া শরীফে শনিবার বাদে নামাজে ফজর থেকেই টুপি ও তসবিহ হাতে কেউবা পায়ে হেটে, আবার কেউবা গাড়িযোগে দলে দলে আসতে দেখা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি কিংবা চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক হয়ে রাউজান-নোয়াপাড়া সড়কের সর্বত্রই চোখে পড়ে বর্ণিল সাজসজ্জা। এই সড়ক দিয়ে যারা নিয়মিত চলাচল করেন তারা কয়েকদিন ধরেই মনোরম সৌন্ধর্যে বিমোহিত হচ্ছেন। শুধু এই সড়কগুলি নয় বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্বত্রই যেন বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ছাড়াও রাজধানীর বুকেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে শোভা পাচ্ছে বিশাল সাইজের বিলবোর্ড, ব্যানার আর ফেস্টুন। বর্ণিল সাজসজ্জার দৃষ্টিনন্দন দেখাচ্ছে পোরো চট্টগ্রাম।
গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরী ও রাউজানসহ আশপাশের প্রায় উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে গাউছুল আজম (রাঃ)’র পবিত্র সালানা ওরছে পাক উপলক্ষে বর্ণিল সাজসজ্বায় সজ্জিত করা হচ্ছে সড়কের আশপাশ। সড়ক-মহাসড়কে শোভা পাচ্ছে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মনোগ্রাম ও গাউছুল আজম (রাঃ)’র বাণী সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন তোরণ। বাহারী সাজসজ্জায় সন্ধ্যার পর তোরণগুলো যেন সুন্নিপ্রেমী জনতার হৃদয়ে সৃষ্টি করছে এক অন্যরকম আবহ। সড়কের দুইপাশে ব্যানার-ফেস্টুনের পাশাপাশি বর্ণিল আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক জায়গায় চোখে পড়েছে সড়কের ওপর নির্মিত ব্রিজগুলোতে শোভা পাচ্ছে বাহারি সাজসজ্জা।
রাউজানসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতেও শোভা পাচ্ছে একই চিত্র। শুধু বাংলাদেশে নয় গাউছুল আজম (রাঃ)’র পবিত্র সালানা ওরছে পাক উপলক্ষে ইউরোপ-আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির শাখাসমূহের পক্ষ হতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
দিন-রাতব্যাপী গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে (১৪ এপ্রিল) শনিবার বাদে নামাজে ফজর খতম শরীফ, ঈছালে ছাওয়াব, মোরাকাবা, রওজা শরীফ জিয়ারত, মিলাদ-কিয়াম, মোনাজাত, খতমে কোরআন, খতমে বোখারি ও তাহ্লীল। বাদে নামাজে জোহর পবিত্র মিরাজুন্নবী (দঃ) ও দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হযরত গাউছুল আজম (রাঃ)’র জীবনী শীর্ষক আলোচনা। বাদে নামাজে আছর তরিক্বতের বিশেষ পদ্ধতিতে ফয়েজে কোরআনের মাধ্যমে নূরে কোরআন বিতরণ। বাদে নামাজে মাগরিব- ফাতেহা শরীফ আদায়, ঈছালে ছওয়াব, মোরাকাবা, সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহ মাধ্যমে হুজুর পাক (দঃ)’র বাতেনী নূর বিতরণ, জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী ও তাবাররুক বিতরণ। বাদে নামাজে এশায় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলীর তাকরির, মিলাদ-কিয়াম, মোনাজাত ও দরূদে মোস্তফা আদায়। আখিরুল লাইল নামাজে তাহাজ্জুদ, জিক্রে জলী, দরূদ শরীফ ও মোনাজাত।
১৫ এপ্রিল (২৭ রজব) বাদে নামাজে ফজর খতম শরীফ আদায়, ঈছালে ছাওয়াব, মোরাকাবা, রওজা জিয়ারত, মিলাদ-কিয়াম ও আখেরী মোনাজাত।
এমআরএম/পিআর