ঘুমের আগে যেসব কাজ নিষিদ্ধ
আল্লাহ তাআলা ঘুম সম্পর্কে কুরআনে পেশ করেন, `আমি তোমাদেরকে (নর-নারী) সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়। তোমাদের ঘুম বা নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী বিশ্রাম স্বরূপ। (ঘুমানের জন্য) রাতকে (কালো) আবরণে আবৃত করেছি।` (সুরা আন-নাবা; আয়াত -৮- ১০)
ঘুমের আগে ও পরে কিছু করণীয় কাজ রয়েছে। ঈমানদার মুমিন বান্দা ঘুমের আগে সতকর্তামূলক কিছু কাজ নিজেদের জন্য আবশ্যক করে নেয়। কারণ ঘুম মৃতু্যর ন্যায়। ঘুমের ঘোরে মানুষের দ্বারা যেন অসতর্কতায় কোনো গোনাহ না হয়ে যায়, সে জন্য সতর্ক থাকা জরুরি। আর তাহলো-
>> শরীরের গুপ্তাঙ্গের কাপড় খুলে যাওয়ার আশংকা থাকে এমনভাবে না ঘুমানো। (যাদুল মাআদ)
>> প্রয়োজনে ঘুমের আগে লুঙ্গি বা ইজার নিচের দিক থেকে গিট দিয়ে বেধে নেয়া।
>> চিৎ হয়ে শুয়ে এক পা খাড়া করে রেখে অন্য পা এ পায়ের ওপর না রাখা। (মুসলিম)
>> উপুড় হয়ে শুয়ে না ঘুমানো। (তিরমিজি)
>> ঘেরাও বা রেলিংবিহীন ছাদে না ঘুমানো। (তিরমিজি)
>> ইশার নামাজের আগে না ঘুমানো। (যাদুল মাআদ)
>> আলোর ব্যবস্থা নেই এমন ঘরে না ঘুমানো। (যাদুল মাআদ)
>> ঘুমানোর সময় আলো জালিয়ে না রাখা। (বুখারি)
ঘুমের মাধ্যমে মানুষের প্রশান্তি লাভের পর ঘুম থেকে উঠার পর মানুষকে আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করার কথা বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি হাদিসে বলেছেন-
হজরত হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তিনি জাগ্রত হতেন তখন বলতেন-
`আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর। অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসাই আল্লাহর জন্য। যিনি আমাদেরকে মারার পর জীবিত করেছেন। আর তাঁর দিকেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। (সহিহ বুখারী, রিয়াদুস সালেহীন)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঘুমের আগে করণীয় কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। ঘুম থেকে ওঠে আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম