মানুষকে অন্যায় থেকে দূরে রাখে যে ভয়
মানুষের ঈমানের অন্যতম একটি বিষয় পরকালে জান্নাত ও জাহান্নামের ওপর বিশ্বাস। জান্নাত হলো ঈমানদারদের শান্তিময় চিরস্থায়ী আবাস। আর জাহান্নাম হলো অপরাধীদের আজাব বা শাস্তির নিবাস।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে মানুষের উদ্দেশ্যে জাহান্নামে নানাবিধ ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেছেন। কাফের পাপিষ্ঠদের জন্য পরকালের প্রতিদান হিসেবে এ জাহান্নামকে সৃষ্টি করে রেখেছেন। কুরআন এবং হাদিসে জাহান্নাম ও তার অধিবাসীদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন।
উদ্দেশ্য একটাই-
জাহান্নামের এ সব আলোচনা ও সতর্কবার্তা শুনে মানুষকে অন্যায় থেকে
নিজেদেরকে ফিরিয়ে রাখবে। তাঁর বিধান মোতাবেক জীবন-যাপন করবে
আর পরকালে লাভ করবে সীমাহীন ভোগ-বিলাসের চিরস্থায়ী আবাস জান্নাত।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে কেউ আল্লাহ ও রাসুলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে (জাহান্নামে) প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৪)
আল্লাহ তাআলা মানুষকে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে জাহান্নামে শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন; যাতে মানুষ দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায়, অপরাধ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। ভালো কথা ও কাজ দিয়ে জীবনকে সাজাতে পারে। আর জাহান্নামের এ ভয় হতে পারে মানুষের অন্যায় থেকে বিরত থাকার অন্যতম কারণ।
নিঃসন্দেহে জাহান্নামের ভয়ে অন্যায় ও অপরাধ থেকে নিজেদের বিরত রাখায় রয়েছে জীবনের চূড়ান্ত সফলতা। জাহান্নামের ভয়ে ঈমানদার নিজেদের ঈমান ও সৎকর্ম দ্বারা শিরক এবং পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের নাজাত লাভে জাহান্নামের কঠিন শাস্তির ভয় ও সতর্কবার্তা উপলব্দি করার তাওফিক দান করুন। জাহান্নামের ভয়ের মাধ্যমে অন্যায় ও অপরাধমুক্ত কথা ও কাজ করার তাওফিক দান করুন। পরকালে চিরস্থায়ী জীবনে জান্নাত লাভে বিজয়ী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস