বান্দার জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ ‘হিকমত’
গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তিই হলো হিকমত বা প্রজ্ঞা। আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে এ হিকমত ও প্রজ্ঞার কথাই বলেছেন। বান্দার জন্য এ হিকমত লাভ হলো আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগ্রহ। যারা এ অনুগ্রহ লাভ করবে তারা পথভ্রষ্ট হবে না।
আল্লাহ তাআলা কর্তৃক প্রদত্ত হিকমত মুমিন বান্দার জন্য মহা মূল্যবান সম্পদ। সে কথা ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন-
আয়াতের অনুবাদ
আয়াত পরিচি.তি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২৬৯নং আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে মহা অনুগ্রহ হিকমতের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি যাকে চান তাকে এ হিকমত তথা প্রজ্ঞা দান করেন। এ হিকমত তথা প্রজ্ঞার মাধ্যমে মানুষ সঠিক পথে নিজেদেরকে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হিকমত বা প্রজ্ঞার মূল হচ্ছে আল্লাহর ভয়।’ যার মধ্যে আল্লাহর ভয় থাকবে দুনিয়ার কোনো অনিষ্ঠই তাকে কাবু করতে পারবে না। পারবে না কোনো ক্ষতি করতে।
হিকমত তথা প্রজ্ঞার মতো সম্পদ যার থাকবে সে কখনো শয়তানের দেখানো পথে চলতে পারে না। বরং মহান আল্লাহর দেখানো প্রশস্ত পথেই চলবে।
হিকমত সম্পর্কে তাফসিরে ইবনে কাসিরে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘হিকমত হলো কুরআন-হাদিসের পূর্ণ পারদর্শিতা লাভ; যার মাধ্যমে মানুষ জীবন-পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট পরিচয় লাভ করে। কুরআনের হালাল-হারাম, রহিত-অরহিত, সুস্পষ্ট-অস্পষ্ট, আগের-পরের সব বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে থাকে।
আবার ভালো-মন্দ তো সবাই পড়তে পারে কিন্তু এর ব্যাখ্যা বা অনুধাবনই হচ্ছে প্রকৃত হিকমত। আর এ হিকমত বা প্রজ্ঞা আল্লাহ যাকে দান করেন সেই পাবে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে এ হিকমত লাভকে মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ এ হিকমত তথা প্রজ্ঞার ফলে মানুষ গোমরাহি থেকে মুক্তি লাভ করে।
পড়ুন- সুরা বাকারার ২৬৮ নং আয়াত
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হিকমত তথা প্রজ্ঞার মতো মহামূলবান সম্পদ লাভের তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান লাভের তাওফিক দান করুন। শয়তানের যাবতীয় ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস