মেসওয়াক করবেন কখন কিভাবে

মেসওয়াক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতি আমল। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক বেশি মেসওয়াক করতেন। কারণ প্রিয়নবির ভাষায়, ‘মেসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়।’ (বুখারি, মিশকাত)
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেসওয়াক করার গুরুত্ব সম্পর্কে বর্ণনা করেন-
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
‘মেসওয়াকবিহীন নামাজের চেয়ে মেসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, তাতে সত্তর গুণ বেশি ফজিলত রয়েছে।’ (বায়হাকি)
মেসওয়াকের গুরুত্ব তুলে ধরে অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন-
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
‘কখনো এমন হয়নি যে, জিবরিল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসেছেন; অথচ আমাকে মেসওয়াক করতে বলেননি। এতে আমার আশংকা হতো মেসওয়াকের কারণে আমার মুখে অগ্রভাগ ছিন্ন-ভিন্ন করে না ফেলি।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত)
নিয়মিত মেসওয়াকে রয়েছে অনেক ফজিলত ও উপকারিতা। কিন্তু মেসওয়াক কখন করতে হবে বা কখন মেসওয়াক করা উত্তম। আবার কিভাবে মেসওয়াক করতে হবে। তার কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরা হলো-
বিজ্ঞাপন
মেসওয়াক যেভাবে করতে হয়
>> মুখের ডানদিক থেকে মেসওয়াক শুরু করা।
>> দাঁতের প্রস্থের দিক থেকে মেসওয়াক করা। অর্থাৎ দৈঘ্যের দিক থেকে (উপর-নিচে) নয়।
>> ডান হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলী মেসওয়াকের নিচে রেখে আর তর্জনী, মধ্যমা ও শাহাদাত আঙ্গুল মেসওয়াকের ওপর রেখে বৃদ্ধাঙ্গুলীর পেট দ্বারা ভালভাবে ধরা।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এ নিয়মটি বর্ণিত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মেসওয়াকের উত্তম সময়গুলো হলো-
>> ঘুম থেকে ওঠার পর মেসওয়াক করা।
>> অজুতে কুলি করার আগে মেসওয়াক করা। অনেকে ওজুর শুরু করার আগে মেসওয়াক করার কথা বলেছেন।
>> নামাজ আদায়ের আগে মেসওয়াক করা।
>> কুরআন-হাদিস পড়ার আগে মেসওয়াক করা। কুরআন-হাদিস পড়ার আগে মেসওয়াক করাকে অনেকে মুস্তাহাব বলেছেন।
>> মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের আগে মেওয়াক করা।
>> কোনো মজলিসে যাওয়ার আগে মেসওয়াক করা।
>> ঘরের প্রবেশ করে মেসওয়াক করা।
>> মুখে দুর্গন্ধ ছড়ালে মেসওয়াক করা।
>> দাঁতে হলুদ আবরণ বা ময়লাযুক্ত হলে মেসওয়াক করা।
>> ক্ষুধা লাগলে মেসওয়াক করা।
>> জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মেসওয়াক করা।
পরিশেষে…
মেসওয়াক করার ফলে মানুষের দারিদ্র্যতা দূর হয়ে সচ্ছলতা আসে এবং উপার্জন বাড়ে। পাকস্থলী শক্তিশালী হয়, জ্ঞান ও স্মরণ শক্তি বাড়ে,কুলুষমুক্ত অন্তর তৈরি হয়, ফেরেশতারা মেসওয়াককারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। সর্বোপরি মেসওয়াকের ফলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত নিয়মে ও সময়ে মেসওয়াক করার তাওফিক দান করুন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় আমলটি বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিজ্ঞাপন
এমএমএস/পিআর
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন