একনিষ্ঠ ইবাদতকারীর নেয়ামতের বর্ণনা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মানুষ এবং জ্বীনকে আমার ইবাদত ব্যতিত অন্য কোনো কাজের জন্য সৃষ্টি করিনি।’ মহান আল্লাহ মানুষকে তার ইবাদত তথা গোলামী করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন।
মানুষের দুনিয়ার দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজই হলো তাঁর গোলামী পরিণত হবে; যদি তা কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক করা হয়। যেমন- মানুষের খাওয়া-দাওয়া, চলা-ফেরা, ঘুম-বিশ্রাম, চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কাজই হবে ইবাদত।
যারা প্রতিটি কাজকে ইবাদত মনে করে পালন করবে। এ কাজগুলোকে আল্লাহর জন্য ইখলাস তথা একনিষ্ঠতার সঙ্গে করবে; আল্লাহ তাআলা সে সব বান্দাকে দুনিয়ার সমৃদ্ধি এবং পরকালে দান করবেন না দেখা অসংখ্য নেয়ামত। যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।
মানুষের দুনিয়ার কাজ-কর্মের প্রতিফল প্রদানের কথা তুলে ধরে আল্লাহ বলেন-
‘তোমরা (দুনিয়াতে) যা করতে শুধু সে সবেরই প্রতিফল দেয়া হবে।’
অতঃপর যারা দুনিয়াতে আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদতকারী তাদের জন্য প্রতিশ্রুত নেয়ামতের কথাগুলো আল্লাহ এভাবে উল্লেখ করেন-
>> তবে যারা (সব কাজে) আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা তারা (পরকালের অশুভ পরিণাম থেকে) মুক্ত থাকবে।
>> তাদের জন্য আছে নির্ধারিত রিজিক; অর্থাৎ যে রিজিক পাওয়ার ব্যাপারে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।
>> সব রকমের ফলমূল এবং তারা হবে সম্মানিত।
>> এবং নেয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতে; অর্থাৎ যেখানে তাদেরকে মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে রাখা হবে।
>> (জান্নাতে) তারা মুখোমুখি হয়ে আসনে বসবে।
>> শরাবের ঝরণা থেকে পানপাত্র পরিপূর্ণ করে তাদের (চারপাশে) ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে।
>> শুভ্র উজ্জ্বল শরাব, পানকারীদের জন্য হবে সুস্বাদু।
>> তা (এ শরাব) তাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করবে না এবং তাতে তাদের বুদ্ধিও ভ্রষ্ট (মাতাল) হবে না।
>> আর তাদের কাছে থাকবে আনত নয়না সুলোচনা তরুণীগণ।
>> তারা হবে এমন, যেন ডিমের খোসার নিচে লুকানো ঝিল্লি। (সুরা সাফ্ফাত : আয়াত ৪০-৪৯)
পবিত্র কুরআনুল কারিমে উল্লেখিত আয়াতগুলো মুখলিস বান্দার জন্য মহান আল্লাহর পুরস্কারের বর্ণনা। মানুষ যখনই আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে একনিষ্ঠ করবে। তখনই কেবল এ নেয়ামত লাভে ধন্য হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার জীবনের প্রতি কাজকেই আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম