যে ব্যক্তি ক্ষমার যোগ্য নয়
ক্ষমা প্রার্থনা ইবাদত সমূহের মধ্যে অন্যতম ইবাদত। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে না; আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির ওপর রাগান্বিত হন।
মানুষ যদি অপরাধ না করত আর ক্ষমা প্রার্থনা না করত তবে আল্লাহ তাআলা এ জাতিকে উঠিয়ে নিয়ে অন্য জাতি পাঠাতেন বলে হাদিসে প্রিয়নবি বর্ণনা করেন।
তারপরও আল্লাহ তাআলা অনেক মানুষকে ক্ষমা করবেন না। তা ফুঠে ওঠেছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জবানিতে। পিয়নবি ওই শ্রেণীর মানুষের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হবে; তবে ওই সব লোককে ক্ষমা করা হবে না, যারা পাপ করার পর তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। অন্যের কাছে প্রকাশ করার একটি দিক হলো কোনো ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোনো গোনাহ করল এবং মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির পাপটা গোপন রাখলেন।
কিন্তু ভোর হলে সে নিজেই অন্য মানুষের কাছে বলল, হে ওমুক! জান, রাতে আমি এ কাজ করেছি।
সারা রাত আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির পাপটা গোপন রাখলেন। আর ভোর হওয়া মাত্রই আল্লাহর ঢেকে রাখা পাপের বিষয়টি সে ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ করে দিল।’ (বুখারি)
হাদিসের ঘোষণা থেকে বুঝা যায়, কোনো ব্যক্তি যদি পাপাচার করে আর তা গোপন রাখে আল্লাহ তাআলাও ওই ব্যক্তির পাপ কাজ গোপন রাখেন। তাওবা করলে তিনি ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
আর যারা পাপাচার করার পর তা মানুষের কাছে বলে বেড়ায় যে, আমি এ কাজ (পাপ) করেছি; আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। এ ব্যক্তি ক্ষমার যোগ্য নয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পাপ করার পর পাপের বিষয়টি গোপন রাখার এবং ক্ষমা লাভে তাওবার করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলা সবার গোপন পাপগুলোকে ক্ষমা করে দিন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম