মদিনায় পবিত্র কুরআনের বিরল পাণ্ডুলিপির প্রদর্শনী
মদিনায় সামায়া হোল্ডিংস এর ব্যবস্থাপনায় পবিত্র নগরী মদিনায় পবিত্র কুরআনের বিরল পাণ্ডুলিপি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে।
বাদশাহ ফাহাদ কমপ্লেক্স-এর হলি কুরআন প্রিন্টিং প্রকল্প, মসজিদ আল-হামারামইনের শারিফাইন অ্যাফেয়ার্স, বাদশাহ আব্দুল আজিজ ফাউন্ডেশন রিসার্চ সেন্টার, বাদশাহ আব্দুল আজিজ জেনারেল লাইব্রেরি মদিনা, বাদশাহ সাউদ ইউনিভার্সিটি ও বাদশাহ আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে তা প্রদর্শিত হয়।
বিশ্বব্যাপী কুরআর শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন, কুরআনের মর্যাদা প্রকাশ, কুরআনের ঘটনা ও শিক্ষা অনুধাবন এবং কুরআনের বিশেষত্ব ও বিধানগুলোর প্রতিফলনের জন্যই এ প্রদর্শনী। খবর আরব নিউজ।
পবিত্র কুরআনের বিরল পাণ্ডুলিপি প্রদর্শনীর সুপারভাইজার হামজা আব্দুল করিম বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তিতে অনেক পাণ্ডুলিপি লেখা হয়েছে। হাফেজ ওসমান কুরআনের ১০৬টি পাণ্ডুলিপি লিখেছেন; ১০৭তম পাণ্ডুলিপি লেখার সময় তিনি ইন্তেকাল করেন।
আফগানিস্তানের গোলাম মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ২০০ বছর আগে একটি অনন্য পাণ্ডুলিপি সম্পন্ন করেন। যা সুদূর আফগানিস্তান থেকে ৪টি উটে করে মদিনায় নিয়ে আসেন। এ পাণ্ডুলিপিটি ১৫৪ কেজি ওজনের এবং দেড় মিটার চওড়া। যার প্রতিটি পৃষ্ঠার নিচে ফার্সি ভাষায় অনুবাদ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘মদিনায় ১২টি হলে কুরআনের এ বিরল পাণ্ডুলিপির প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীতে ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, ফার্সি, তুর্কি, উর্দু, পশতু, মালয় ও ইন্দোনেশিয়ান ভাষার দোভাষীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
হজ সৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার দর্শক এ প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহণ করে। তাছাড়া ১৫০টি দেশের মানুষ এ প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।
মদিনার কুরআন প্রদর্শনীর দর্শকরা মিশরীয় ক্যালিগ্রাফার হানি আল-তাওয়ালের অনন্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে যায়। তিনি আরবি বর্ণমালার নকশা ও দিওয়ানি শৈলীর পাশাপাশি ৬টি অনন্য স্টাইলে লিখে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
এমএমএস/এসএম