যাদের জন্য জান্নাত সৃষ্টি
আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য চিরস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে জান্নাত সৃষ্টি করেছেন। কুরআনে পাকের অনেক আয়াতে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে ঘোষণার সুস্পষ্ট বর্ণনা করে বলেছেন-
‘যারা তাওহিদের কালেমার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তা কথা ও কাজে বাস্তবায়ন করবে তার জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত।’
‘যাদের জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত’ এ সম্পর্কে একটি লেখা লিখেছেন গভীর পাণ্ডিত্য, অসাধারণ মেধা ও দক্ষতার অধিকারী কালয়ুবি গ্রন্থের লেখক শায়খ আহমদ ইবনে আহমদ কালয়ুবি।
এক ঘোষককে বলতে শুনলাম, হে যূননূন! সে ওই ব্যক্তি; যাকে শয়তান পৃথিবীতে তালাশ করে পায়নি; জাহান্নামের দারোগা মালিক তাকে তালাশ করে পায়নি; এমনকি জান্নাতের রিদওয়ানও তাকে তালাশ করে পায়নি।
আমি গায়েবি ঘোষককে বললাম, ‘তবে এখন তিনি কোথায়? সে বলল, যোগ্য আসনে, যাবতীয় ক্ষমতার অধিকারী প্রভুর সান্নিধ্যে রয়েছেন। এ কারণেই বলা হয় ইবাদতের ক্ষেত্রে মানুষ ৩ শ্রেণীর; যাদের প্রত্যেকেই জান্নাতের নিশ্চয়তা পেয়েছেন। এ ৩ শ্রেণীর মানুষের মধ্যে এক শ্রেণীর মানুষকে তিনি জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন।
৩ শ্রেণীর মানুষের বিবরণ হলো-
>> রোহবানি : সেই শ্রেণীর মানুষ, যারা আল্লাহর ভয়-ভীতি নিয়ে ইবাদত করে। তাদেরকে কেয়ামতের দিন বলা হবে, ‘জাহান্নাম থেকে তুমি মুক্ত।’
>> হাইওয়ানি : সেই শ্রেণীর মানুষ, যারা আল্লাহর রহমত ও মাগফেরাতের আশায় ইবাদত করে। তাদেরকে কেয়ামতের দিন বলা হবে, ‘তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।’
>> রাব্বানি : এই ‘রাব্বানি’ শ্রেণীর মানুষের জন্যই আল্লাহ জান্নাত সৃষ্টি করেছেন বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের বৈশিষ্ট্য হলো-
‘তাঁরা এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করে যে, তারা দুনিয়া, পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম, নফস, রূহ কোনো কিছুই চিনে না। তাদেরকে আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমিই আমার প্রিয়তম; তুমি আমার উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ও তুমিই আমার কাম্য। আমার ইজ্জত ও ক্ষমার কসম! এ শ্রেণীর লোকদের জন্যই আমি জান্নাত সৃষ্টি করেছি।’
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর রহমতের ওসিলায় জান্নাত দান করুন। তাওহিদের ঘোষণায় শিরকমুক্ত ঈমান লাভ করে পরকালের চিরস্থায়ী আবাস হিসেবে জান্নাত অর্জনে ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর