দুনিয়াতেই রয়েছে ইসতেগফারের ৩ নেয়ামত
‘ইসতেগফার’ বা ক্ষমা প্রার্থনা বান্দার জন্য আল্লাহর মহা অনুগ্রহ। যারা ইসতেগফার করে গোনাহের কাজ থেকে ফিরে আসবে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে দুনিয়া ও পরকালে সফলতা দান করবেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও প্রতিদিন ৭০-১০০ বার ইসতেগফার পড়তেন।
হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসতেগফারের ৩টি নেয়ামতের কথা উল্লেখ করেছেন। যারা একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইসতেগফার করবে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে দুনিয়াতে যেমনি ভাবে ৩টি বিষয়ে পুরস্কার লাভ করবে তেমনি পরকালেও থাকবে চিন্তামুক্ত।
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইসতেগফার (পড়া)কে অবশ্যম্ভাবী করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে সব সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করবেন এবং সব পেরেশানি থেকে নাজাত দেবেন আর এমন জায়গা থেকে তাকে রিজিক দেবেন, যার কল্পনা পর্যন্ত সে করেনি।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ)
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে দুনিয়াতে যদি কোনো ব্যক্তি সংকীর্ণতা, পেরেশানি ও রিজিকের ব্যাপারে চিন্তিত না হতে হয়; তবে এর চেয়ে বড় নেয়ামত আর কি হতে পারে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়াতে এ নেয়ামতগুলো অর্জন করার মাধ্যমে যথাযথ তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি অর্জন করবে তাঁর পরকাল হবে সফলকাম।
পরিশেষে...
মানুষের উচিত, ক্ষমা প্রার্থনা লাভে কুরআন ও হাদিসের নসিহত গ্রহণ। দুনিয়া ও পরকালে ইসতেগফারের মহা পুরস্কারের কথা তুলে ধরে আল্লাহ বলেন-
‘যারা তাকওয়া অর্জন করে; তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের কাছে (চিরস্থায়ী) জান্নাত। যার তলদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত। আর রয়েছে পবিত্র স্ত্রীগণ ও আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ বান্দাদের সম্পর্কে সাম্যক দ্রষ্টা।
যারা বলে, হে আমাদের রব! নিশ্চয় আমরা ঈমান আনলাম। অতএব আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আজাব থেকে রক্ষা করুন। যারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, আনুগত্যশীল ও ব্যয়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। ইসতেগফারের মাধ্যমে ক্ষমা লাভ করে তাঁর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম