শরীরের জোড়ার হক আদায় করবেন যেভাবে
সৃষ্টিজগতের মধ্যে মানুষ আল্লাহ তাআলার সেরা সৃষ্টি। তিনি মানুষকে অনেক ভালোবেসে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে সঠিক পথের দিশা দেয়ার জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
মানুষের শরীরে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য জোড়ার সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন। আর প্রতিটি জোড়ারই হক রয়েছে। এ হক আদায়ের মধ্যে নিহিত রয়েছে মানুষের সুস্থতা ও সফলতা।
মানুষের শরীরের এ জোড়াগুলোর হক আদায়ের সহজ উপায় বলে দিয়েছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রতিদিন যখন সূর্য ওঠে (তখন) মানুষের (শরীরের) প্রত্যেক জোড়ার সাদকাহ আদায় করা আবশ্যক কর্তব্য। (আ তা আদায় হতে পারে এমন যে,)-
>> দু'জন মানুষের মাঝে ইনসাফ করে দেয়া (বিবাদ মীমাংশা) হচ্ছে সাদকাহ;
>> কোনো আরোহীকে তার বাহনের ওপর আরোহন করতে বা তার উপর বোঝা উঠাতে সাহায্য করা হচ্ছে সাদকাহ;
>> ভালো কথা বলা হচ্ছে সাদকাহ;
>> নামাজের জন্য মসজিদ বা নামাজের স্থানে যাওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ হচ্ছে সাদকাহ; এবং
>> কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা থেকে সরানো হচ্ছে সাদকাহ। (বুখারি ও মুসলিম)
হাদিসের পরিভাষায় মানুষ প্রতিদিন যে ভালো কাজগুলো করবে; তার প্রতিটিই একটি করে সাদাকায় পরিণত হবে। আর এভাবেই ভালো কাজের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি জোড়ার হক আদায় হয়ে যাবে।
সুতরাং সারা দিন মানুষের শরীরের জোড়ার হকগুলো আদায়ের কথা চিন্তা করে খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে ভাল কাজের মানসিকতা পোষণই মানুষকে সঠিক পথের ওপর চলতে সাহায্য করে।
আর এ ভালো কাজগুলোর জন্য সাদকাহ আদায়ের ছাওয়াবও সে আল্লাহ কাছে পেয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় উত্তম কথা ও কাজ করার মাধ্যমে শরীরের হক আদায় করার তাওফিক দান করুন। সাদকার সাওয়াব লাভ করে পরকালের কল্যাণ ও সফলতা লাভের তাওফিক দিন। আমিন।
এমএমএস/এমএস