ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদ আল-আকসা’র প্রতিষ্ঠা

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২৯ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

ইসলামের তিন পবিত্র স্থান-এর মধ্যে অন্যতম ‘মসজিদে আকসা’। ইবাদতের উদ্দেশ্যে এ তিন স্থানে যাওয়া বৈধ ও অনেক সাওয়াবের কাজ। পৃথিবীর অন্যান্য ইবাদতগৃহে নামাজ আদায়ের চেয়ে এ গৃহে নামাজ আদায়ের সাওয়াব অনেক বেশি বলেছেন স্বয়ং প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, ‘ঘরে একাকি নামাজ আদায়ে এক গুণ সাওয়াব; মসজিদে নামাজ আদায়ে ২৫ গুণ সাওয়াব; মসজিদে নবিব (মদিনায়) ও মসজিদে আকসায় ৫০ হাজার গুণ সাওয়াব এবং মসজিদে হারাম (কাবা শরিফে) এক লাখ গুণ সাওয়াব। (ইবনে মাজাহ)

ইসলামের পবিত্রতম অন্যতম পবিত্রতম স্থান বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদ আল-আকসাসহ অসংখ্য নবি-রাসুলদের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক জেরুজালেম শহর বর্তমানে অভিশপ্ত ইয়াহুদিরা অবৈধভাবে দখল করে আছে। যার চত্ত্বরে আজো অসংখ্য নবি-রাসুলের সমাধি বিদ্যমান। মসজিদে আকসার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অনেকরই অজানা। যারা তা জানে না তাদের জন্যই এ সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা-

বাইতুল মুকাদ্দাসের প্রতিষ্ঠা
মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম কর্তৃক পবিত্র কাবা ঘর নির্মাণের ৪০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর নাতি বনি ইসরাইলের প্রথম নবি হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ শহর জেরুজালেমে মসজিদ আল-আকসা নির্মাণ করেন। অতঃপর হজরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম জিন জাতির মাধ্যমে এ পবিত্র মসজিদ পুনঃনির্মাণ করেন।

ইসলামের আগমনের পর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরে ইন্তেকালের কয়েক বছর পর ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানদের অধীনে আসে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে এ মসজিদটি কিছু দিনের জন্য মুসলমানদের কেবলা হিসেবে ব্যবহার হয়েছিল।

ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্র

১৫ জুলাই ১০৯৯ সাল। ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য এক বেদনাদায়ক দিন। সে দিন অযোগ্য মুসলিম শাসকদের ছত্রছায়ায় খ্রিস্টান ক্রুসেডার বাহিনী সমগ্র সিরিয়া ও ফিলিস্তিন দখল করে। এর পরই ঘটতে থাকে হৃদয় বিদারক অসংখ্য ঘটনা। যা ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক।

এ খ্রিস্টানরা ১০৯৯ সালের ৭ জুন প্রথমে জেরুজালেমে অবস্থিত ‘বায়তুল মুকাদ্দাস তথা মসজিদ আল-আকসা’ অবরোধ করে এবং ১৫ জুলাই মসজিদের ভেতর প্রবেশ করে ব্যাপক পরিবর্তন করে। অতঃপর এ পবিত্র মসজিদে তারা তাদের উপাসনালয় গির্জায় পরিণত করে।

বায়তুল মুকাদ্দাস পুনরুদ্ধার
২৩ মার্চ ১১৬৯ খ্রিস্টাব্দ। ফাতেমীয় খেলাফতের রাজত্বকালে খলিফার নিদের্শে সেনাপতি হজরত সালাহউদ্দিন আইয়ুবি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি গভর্নর ও সেনাপ্রধান হয়ে মিসরে আগমন করেন।

২০ সেপ্টেম্বর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে রক্তক্ষয়ী সমরাভিযানের মাধ্যমে তিনি মসজিদ আল-আকসাসহ পুরো ঐতিহাসিক জেরুজালেম নগরী মুসলমানদের অধিকারে নিয়ে আসেন।

২ অক্টোবর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে সেনাপতি ও গভর্নর সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীবেশে বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করেন। সালাহউদ্দিন আইয়ুবি কর্তৃক বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত হওয়ার পর জেরুজালেমে দীর্ঘ প্রায় এক শতাব্দিব্যাপী মুসলমানরা খ্রিস্টানদের অত্যাচার থেকে মুক্ত ছিল।

দীর্ঘকাল ধরে মুসলমানরা খ্রিস্টানদের সঙ্গে লড়াই করে এ মসজিদের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। সবশেষে শুরু হয়েছে ইয়াহুদি আগ্রাসন। যার ফলে আজ মসজিদ আল-আকসা মুসলমানদের হাতছাড়া এবং ইয়াহুদিদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ও অবরুদ্ধ।

এমএমএস/আইআই

আরও পড়ুন