বিশ্বনবির ঘোষণায় ৩ শ্রেণীর ব্যক্তি মারাত্মক অপরাধী
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বান্দার ৩টি কাজের ব্যাপারে সাবধান করেছেন। যে সব কাজে আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি অসন্তুষ্ট হন।
হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন ৩ শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না। শুধু তা-ই নয়, তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেনও না। তাদেরকে কঠোর আজাব দিবেন। তারা হলো-
>> বার্ধক্যে ব্যভিচারকারী
বৃদ্ধাবস্থায় যখন নারী-পুরুষের যৌনক্ষুধা নিবৃত প্রায় এবং মৃত্যু সন্নিকটে তখন যদি কোনো বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়; তাদের সঙ্গে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না এবং রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেনও না। তাই বলে যৌবনকালে নারী-পুরুষের জন্য ব্যভিচার বৈধ নয়। মনে রাখতে হবে ব্যভিচার সর্বাবস্থায় মারাত্মক অপরাধ।
>> মিথ্যাবাদী শাসক
মিথ্যা সব পাপের জননী। মিথ্যাবাদী রাজা হোক আর প্রজা হোক সবার জন্যই সমান অপরাধ। তবে মিথ্যাবাদী শাসকের কথা উল্লেখ করার কারণ হলো- বাদশাহ তো কারো ভয়ে ভীত হওয়ার কথা নয় এবং কারো বাধ্য বা অনুগত নয়। তা সত্ত্বেও যে সব শাসক মিথ্যার আশ্রয় নেবে; আল্লাহ তাআলা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না এবং তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেনও না।
>> অহংকারী গরিব
অহংকার পতনের মূল। আর অহংকার বান্দার জন্য নয়। মানুষের অহংকার করা আর আল্লাহ তাআলার চাদর নিয়ে টানাটানি করার সমান। কিন্তু গরিব অহংকারীর দিকে না তাকানো ও কথা না বলার কারণ হলো- গরিব মানুষ সাধারণ নরম মনের অধিকারী হয়। অন্যের দয়া ও করুণার আশা রাখে।
সাধারণত দুনিয়াতে ধনী ও উঁচু শ্রেণীর লোকেরাই অহংকার করে থাকে। সে যা-ই হোক, অহংকার এমন এক মারাত্মক অপরাধ যা বাদশাহ-ফকির, ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নীচু, ছোট-বড় সবার বেলাই সমান।
পরিশেষে...
মুমিন মুসলমান প্রত্যেককেই উল্লেখিত ৩ কাজ থেকে হেফাজত থাকা আবশ্যক। মানুষ যুবক হোক আর বৃদ্ধ হোক, ক্ষমতাশালী হোক আর ক্ষমতাহীন হোক, ধনী হোক আর গরিব হোক, উল্লেখিত কাজগুলো থেকে মুক্ত থাকা সবার জন্য জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেককে উল্লেখিত কাজ থেকে হেফাজত করুন। পরকালের আল্লাহ তাআলার রহমত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস