সৃষ্টির সব জ্ঞানের উৎস আল্লাহ
‘ওয়া লা ইউহিতুনা বি-শাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশাআ’ অর্থাৎ আল্লাহ যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত মানুষ ও সমগ্র সৃষ্টির জ্ঞান আল্লাহ তাআলার জ্ঞানের কোনো একটি অংশ বিশেষকেও পরিবেষ্টিত করতে পারে না।’ আয়াতুল কুরসির সপ্তম অংশে আল্লাহ তাআলা তাঁর জ্ঞান ও সমগ্র সৃষ্টি জ্ঞানের ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য পেশ করেছেন।
মানুষসহ সমগ্র সৃষ্টির জ্ঞান সসীম আর আল্লাহ তাআলার জ্ঞানের কোনো পরিসীমা নেই। আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকে যতটুকু জ্ঞান দান করেছেন, এর মধ্যেই সমগ্র সৃষ্টি সীমাবদ্ধ। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘যা তিনি ইচ্ছা করেন, তা ছাড়া তার জ্ঞানের কোনো কিছুই তারা (মানুষসহ সমগ্র সৃষ্টি) আয়ত্ব করতে পারে না।’
আয়াতের আগের অংশে আল্লাহ তাআলা সমগ্র সৃষ্টির আগরে এবং পরের খবরাখবর জানেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ জন্য আল্লাহ তাআলা বলেছেন সৃষ্টির সব বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। তা হোক আগের বা পরের।
আলোচ্য আয়াতাংশটিও আয়াতুল কুরসির ১০টি বক্তব্যের সপ্তম বক্তব্য। যা দুনিয়ার মহামণ্ডিত দাবিকারীদের জ্ঞান ও বক্তব্যকে খোঁড়া করে দিয়েছেন। যার বক্তব্যের কাছে সব জ্ঞানীদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোচ্য আয়াতাংশে আল্লাহ তাআলা সমগ্র বিশ্ববাসীকে তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্যের চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেন বলেন, ‘তিনি যতটুকু চান; তা ব্যতিত (মানুষসহ সমগ্র সৃষ্টির) কেউই তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুই আয়ত্ব করতে পারে না। তাঁর জ্ঞানের সীমাকে পরিবেষ্টিত করতে পারে না।
আল্লাহ তাআলা সৃষ্টির যাকে যে পরিমাণ জ্ঞান দান করেন, শুধু ততটুকুই মানুষ আয়ত্ব করতে পারে। এ আয়াতাংশে বলা হয়েছে, সমগ্র সৃষ্টি অণু-পরমাণু পরিমাণ জ্ঞানও আল্লাহর জ্ঞানের আওতাভূক্ত। মানুষ বা অন্য কোনো সৃষ্টি এ জ্ঞানের অংশীদার নয়। (তাফসিরে মারেফুল কুরাআন)
আয়াতাংশটি আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ গুণ। মানুষ বরং সমস্ত মাখলুক আল্লাহর ইলমের কোনো অংশকে আয়ত্বে আনতে পারে না। সমস্ত সৃষ্টিরাজির অণু-পরমাণু পরিমাণ বস্তুতে তাঁর জ্ঞান রয়েছে। এটা আল্লাহর বিশেষ গুণ এবং এতে কেউ শরিক নেই। (তাফসির জালালাইন)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আয়াতুল কুরসিতে ঘোষিত গুণগুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে শিরকমুক্ত ঈমান লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আইআই