জান্নাত লাভে প্রিয়নবির সুন্নাতি আমল
মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় সৃস্টি। মানুষকে কেন্দ্র করেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সমগ্র জাহান সৃষ্টি করেছেন। আর এ কারণেই কুরআনের আলোচ্য বিষয়ও মানুষ। আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সত্য দ্বীন কুরআনসহ মানুষের হেদায়েতের জন্যই এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। প্রিয়নবি মানুষকে দিয়েছেন সত্যের দাওয়াত। সফল জীবন লাভে দিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশনা। এ সবই বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে মহা নেয়ামত।
নেয়ামতের শুকরিয়া স্বরূপ মানুষ আল্লাহকে সিজদা করবে। তাঁকে রব হিসেবে মেনে নিয়ে জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একমাত্র তারই গোলামী করবে। যথসময়ে ফরজ নামাজ আদায় করবে। আবার এ সব নামাজের আগে পরে অনেক নামাজ আদায়কে প্রিয়নবি গুরুত্ব দিয়েছেন। হাদিসেই রয়েছে যার জলন্ত প্রমাণ।
হজরত উম্মে হাবিবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- ‘যে ব্যক্তি রাতে ও দিনে বার রাকাআ’ত সুন্নাত নামাজ আদায় করে, বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করেন। হজরত উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন যে, এ হাদিস শোনার পর থেকে কখনো আমি এ নামাজগুলো পরিত্যাগ করিনি। (মুসলিম)
নামাজগুলো হলো-
ফজরের ফরজের পূর্বে দুই রাকাআত সুন্নাত, জোহরের ফরজের পূর্বে চার রাকাআত
এবং পরে দুই রাকাআত সুন্নাত, মাগরিবের ফরজের পরে দুই
রাকাআত সুন্নাত এবং ইশার ফরজের পরে দুই রাকাআত সুন্নত।
এ কারণেই প্রিয়নবি অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’ প্রিয়নবির সুন্নাতি আমল পালনে ফরজ নামাজের আগে এবং পরে এই সুন্নাত নামাজগুলো আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সহজ। কিন্তু আর বিনিময় রয়েছে জান্নাতের ঘর নির্মাণের নিশ্চয়তা। সুতরাং হাদিসে ঘোষিত পুরস্কার লাভে উল্লেখিত নামাজগুলো যথাযথ আদায় করে যথাযথ বিনিময় লাভে এগিয়ে আসা মুসলিম উম্মাহর ঈমানেরই দাবি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবি ঘোষিত নামাজের এ সুন্নাতি আমলগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস