দোয়া কবুলে বিশ্বনবির নিশ্চয়তা
‘দোয়াই ইবাদত’ এমনটিই ঘোষণা করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি আরো ঘোষণা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার কাছে কোনো কিছু প্রার্থনা করে না; তিনি ওই বান্দার প্রতি রাগান্বিত হন।’
আল্লাহ তাআলা বান্দাকে উদ্দেশ্য কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন-
‘তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক (আমার কাছে চাও/দোয়া কর);
আমি তোমাদের ডাকে (চাওয়া-পাওয়া পূরণে) সাড়া দেব।
যারা অহংকার করে আমার উপাসনায় বিমুখ,
ওরা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সুরা মুমিন : আয়াত ৬০)
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে দোয়া-ই ইউনুছ পড়ার পরামর্শ দেন। কারণ দোয়া ইউনুছ পাঠ করে মানুষ যা প্রার্থনা করবে; আল্লাহ তাআলা তা-ই দান করবেন বলে প্রিয়নবি ঘোষণা দেন।
হজরত সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘মাছওয়ালা নবি হজরত ইউনুছ আলাইহিস সালাম-এর দোয়া হল এই; যখন তিনি মাছের পেটে থেকে দোয়া করেছিলেন-
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কংতু মিনাজ জ্বালিমিন।’
অর্থ : ‘তুমি ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই; তুমি পুতঃপবিত্র আর আমি হলাম অত্যাচারী।’
প্রিয়নবি বলেন, ‘যে কোনো মুসলমানই কোনো কিছুর ব্যাপারে (চাওয়া-পাওয়ার উদ্দেশ্যে) এ দোয়া করবে; নিশ্চয়ই তার দোয়া কবুল হবে।’ (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, মিশকাত)
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর কাছে প্রার্থনা করার নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং মানুষের আবেদন মঞ্জুরের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। আবার যারা অহংকার করে মুখ ফিরিয়ে নেবে তাদের ব্যাপারে জাহান্নামের অভিসম্পাতও করেছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা।
এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা, ধরনা দেয়া বা দোয়া করাকে ইবাদত হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।
আবার উল্লেখিত হাদিসের মাধ্যমে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বান্দার দোয়া কবুলের ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবি ঘোষিত দোয়ায়ে ইউনুছের মাধ্যমে তাদের মনের একান্ত চাওয়া-পাওয়াগুলো পূরণের আল্লাহর কাছে আবেদন-নিবেদন করার তাওফিক দান করুন।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে দুনিয়ায় সুন্দর জীবন গঠন এবং পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস