ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

যুক্তরাজ্যে নো ভিসা ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাইকমিশনের বিবৃতি

প্রবাস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মাহবুব আলী খানশূর, যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের পাসপোর্টে বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য নো ভিসা রিকোয়ার্ড (এনভিআর) ফি ৪৬ পাউন্ড থেকে ৭০ পাউন্ডসহ কয়েকটি সেবার ফি বৃদ্ধি করায় ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে হাইকমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। এদিকে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মাঝে নানা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার প্রেক্ষিতে এনভিআর এর ফি বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন একটি বিবৃতি দিয়েছে।

গত ১১ ডিসেম্বর ইস্যুকৃত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাউন্সিলর সার্ভিস নানা পর্যালোচনার পর গত ৪ ডিসেম্বর কয়েকটি ক্ষেত্রে ফি বাড়ানো হয়েছে। ওই সার্ভিসগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের এনভিআর ফি ৪৬ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৭০ পাউন্ড করার বিষয়টিও রয়েছে।

২০১১ সাল থেকে দীর্ঘদিন এই কাউন্সিলর সার্ভিস ফি বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনা করা হলেও সম্প্রতি তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে টুরিস্ট ও অন্যান্য ভিসা ফির সঙ্গে এনভিআরের ভিসা ফি তুলনা করে উল্লেখ করা হয়, এনভিআরের ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর আর এর ফি মাত্র ৭০ পাউন্ড। পক্ষান্তরে টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ছয় মাস এবং এর ফি ১০৫ পাউন্ড আর অন্যান্য ভিসার মেয়াদ ৫ বছর এবং তাদের ফি ৬৯৫ পাউন্ড। হাইকমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঢাকার ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে।

বিবৃতিতে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের হাইকমিশনের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এজন্য তারা নানা পর্যালোচনার পর বাংলাদেশ সরকারের ভিসা ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আন্তরিকভাবে সুবিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

এনভিআরসহ চারটি সেবার ফি বৃদ্ধিতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মধ্যে ক্ষোভ বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডনের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ হযরত আলী খানের কাছে ই-মেইল করে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের গভীর অনুভূতি, হতাশা, ক্ষোভ এবং উদ্বেগের কথা জানান হয়।

ই-মেইলে বলা হয়, একদিনের নোটিশে সরকার নো-ভিসার ফি বৃদ্ধি করেছে। এই পরিবর্তন, পর্যাপ্ত পরামর্শ বা প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় ছাড়াই করা হয়েছে। ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠায়, বিনিয়োগ ও হলিডে করে মাতৃভূমির অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

অথচ এত দ্রুত নো ভিসার ফি বৃদ্ধির কারণে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মধ্যে দেশের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি করা হবে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশ সেন্টারের পক্ষ থেকে এই ফি বৃদ্ধি পুনর্বিবেচনা করে অবিলম্বে নো-ভিসার ফি ৪৬ পাউন্ড পুনর্বহাল করার জন্য জোরালো দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ হাইকমিশন নো ভিসা ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়। গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকের কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে এই সভা যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে একটি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংগঠনের চেয়ারপার্সন ব্যারিস্টার আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ খসরু খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস রিজিওনের সভাপতি ফখর উদ্দিন।

এমআরএম/জিকেএস