বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী বাংলার মেলা
স্পেনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত শহর বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বাংলার মেলা। প্রতি বছরের মতো এবারও অ্যাসোসিয়েশন কুলতুরাল উমানিতেরিয়া দে বাংলাদেশ ইন কাতালোনিয়া সংগঠনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় শহরের প্রাণকেন্দ্র প্লাজা মাকবায় অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা।
শনিবার (১৩ জুলাই) বার্সেলোনা, বাদালোনা, সান্তাকলমাসহ কাতালোনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেলায় অংশগ্রহণ করেন। শিশু ও নারীদের সাজ-সজ্জা ও বর্ণিল পোশাকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ছাপ ছিল লক্ষণীয়।
সাঈদ স্বপন, মঞ্জু স্বপন, মুন্নি পাখি, নিগার হোসাইন ও তাইফা রহমানের সাবলীল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত মেলার প্রধান আকর্ষণ হিসেবে গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী আসিফ আকবর।
দুপুর ১২ থেকে মেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও সন্ধ্যা ৮টায় স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সারওয়ার মাহমুদ এনডিসি, বার্সেলোনার বাংলাদেশি কাউন্সিল রামন পেদ্রো বেরনাউস, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আলাউদ্দিন হক নেসা ও প্রধান উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম চৌধুরী যৌথভাবে ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিক খানের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেনেরালিদাদ দে কাতালোনিয়া ও আজুনতামেন্ত দে বার্সেলোনার সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক, কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, আয়োজক সংগঠনের সদস্যরা।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের সঙ্গে গান পরিবেশন করেন বার্সেলোনার স্থানীয় ও ইউরোপে বসবাসকারী বাংলাদেশি শিল্পী মঞ্জু স্বপন, জিনাত শফিক, আহানা দিবা, রাজু গাজী, বর্ষা, শুভ, তন্ময় ও অমি। নৃত্য পরিবেশন করেন বার্সেলোনায় বাংলাদেশি শিশুশিল্পীসহ কলকাতার নৃত্য শিল্পীগোষ্ঠী।
মেলার মাঠে ১০টি দেশি খাবারের স্টলে ছিল বাংলাদেশি ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি, পিঠা ও মিষ্টিসহ হরেক রকমের দেশি খাবার। স্টলগুলোতে বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। মধ্যরাত প্রায় ১টা পর্যন্ত চলা মেলার সমাপনী পর্যন্ত বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আলাউদ্দিন হক নেসা, প্রধান উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শফিক খান তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানান, বার্সেলোনা তথা স্পেনে বাংলাদেশিদের কোনও আনুষ্ঠানিকতায় এত বাংলাদেশিদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয় না।
তারা জানান, এই মেলার মূল উদ্দেশ্য বছরে অন্তত একবার বাংলাদেশিদের মিলনমেলার আয়োজন করা, যেখানে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রবাসের মাটিতে তুলে ধরা যাবে।
এমআরএম/জিকেএস