কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপন
এনআরবি ওয়ার্ল্ডের অনবদ্য পরিবেশনায় ‘বাংলাদেশ’
কলকাতায় এনআরবি ওয়ার্ল্ডের অনবদ্য পরিবেশনায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের দুই দিনব্যাপী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। রোববার সন্ধ্যায় শেষ দিনের অনুষ্ঠানে গানে-কবিতায় মেতে ওঠে দূতাবাস প্রাঙ্গণের বঙ্গবন্ধু মঞ্চ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, একাত্তরের ৩০ লাখ শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, ভারতীয় মিত্রবাহিনী এবং কলকাতার রণাঙ্গনের সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের দফতর সম্পাদক সাহানারা খাতুন।
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা কবিতা ‘বাংলাদেশ’ আবৃত্তি করেন। এরপর ‘ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা’ (রবীন্দ্র সঙ্গীত) পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী পূর্ণিমা সাউ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবি আনিসুল হকের কবিতা ‘৩২ নম্বর মেঘের ওপারে’ আবৃত্তি করেন শিল্পী শিরিন সুলতানা।
সঙ্গীত শিল্পী মৌসুমী দাসের পরিবেশনায় শেষ হয় দূতাবাসের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। তিনি পরিবেশন করেন ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি, ও আমার বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভূমি। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের সম্পাদক ওমর আলী।
এর আগে শনিবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রতির বাণী পাঠ করেছেন কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর এএসএম আলমাস হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) তুষিতা চাকমা এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম।
শনিবার বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষি ও পরিষদ বিষয়কমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ১৯৭১ সালের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস সমাপনী বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সহায়তার জন্য ভারতের, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বাংলাদেশ-ভারতের গভীর বন্ধুত্বের প্রসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশ এবং ভারত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ মাসুম আখতার, দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি সিকদার আশরাফুর রহমান, প্রেস সচিব রঞ্জন সেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম।
এমআরএম/জিকেএস