দক্ষিণ আফ্রিকা
জমে উঠেছে প্রবাসীর কোরবানি গবাদিপশুর ব্যবসা
দক্ষিণ আফ্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে গবাদিপশুর ব্যবসা করছেন বাংলাদেশের ফেনীর যুবক রিয়াজ উদ্দীন রনি। পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে তার ফার্মে ভিড় করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারত ও পাকিস্তানিসহ মুসলিম কমিউনিটির লোকজন।
জোহানসবার্গের বেলকাটা এলাকায় স্মার্ট ওলমার্ট লাইভস্টোক নামে রনির দুটি ফার্মে গরু, ছাগল, হরিণ, উটসহ হালাল মাংসের গবাদিপশু রয়েছে। হাঁস, মুরগি, কবুতরও রয়েছে সেখানে। বছরজুড়ে এসব নিয়েই চলে তার ব্যবসা।
রনি স্থানীয় ফার্ম থেকে পাইকারি দরে গরু ও খাসির মাংস সংগ্রহ করেন। পরে জোহানসবার্গ ব্রি স্টেটের গ্রোসারি ব্যবসায়ী রনি তার দোকানে বাংলাদেশিসহ মুসলিম ক্রেতাদের জন্য মাংস সরবরাহ করেন।
রনি বলেন, মাংসের মান ভালো হওয়ায় ক্রেতা বেড়েই চলেছে। সপ্তাহে দুটি বড় অকারের গরু ও তিনটি খাসির চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের। তার জোগান দিতে এখান থেকে পশু পছন্দ করে জবাই করে নিয়ে যাই।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এ ধরনের ব্যবসায় খুব বেশি বাংলাদেশিকে দেখা যায় না। বাবা-চাচাদের দেখে এ ব্যবসায় আসতে উৎসাহী হয়েছেন বলে জানান রনি।
তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার পর অন্য প্রবাসীদের মতো গ্রোসারি দোকানে চাকরি করি। পরে দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে করতে ২০১৫ সাল থেকে গবাদিপশু ও হালাল মাংসের ব্যবসায় জড়িয়ে যাই। এখানে ফার্ম মালিকদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ার পর পুরোপুরি করতে শুরু করি। বর্তমানে আমার দুটি ফার্ম আছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে কিনে বিভিন্ন শহরে সরবরাহ করি।
তিনি আরও বলেন, ক্রেতারা কল করলে তাদের চাহিদার অনুযায়ী অর্ডার নিই। তারপর আমরা মাংস কাটিং করে পৌঁছে দেই। এছাড়া জোহানসবার্গ এলাকার ফোর্ডসবাগ, মেফেয়ারসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে মাংস সরবরাহ করি। চারজন আফ্রিকান ও দুই জন বাংলাদেশিকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
কোরবানিকেন্দ্রিক বেচাকেনা নিয়ে রনি বলেন, কোরবানির পশু বিক্রি চলছে। একসঙ্গে বেশি পশু রাখি না। বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আবার নিয়ে আসি। এভাবে নতুন নতুন কাস্টমার এসে নিয়ে যায়, গোয়াল খালি হয়। আমার ব্যবসা বাড়ে।
এমআরএম/জিকেএস