ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিক ইস্যুতে তদন্ত দাবি

আহমাদুল কবির | প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ০২ মে ২০২৩

মালয়েশিয়ার ৫৮টি ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থার শ্রম আইন সংস্কার জোট (এলএলআরসি) বলেছে, বিদেশিকর্মী নিয়োগ এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির যোগসূত্র নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত খুবই উদ্বেগজনক।

সংস্থাটি রোববার কুয়ালালামপুরে এক অনুষ্ঠানে অভিবাসীকর্মী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির দুর্নীতি তদন্তের জন্য একটি রাজকীয় তদন্ত কমিশন (আরসিআই) গঠন করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।

এলএলআরসির সহ-চেয়ারম্যান আইরিন জেভিয়ার বিদেশিকর্মী ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রের দুর্নীতিকে ‘আতঙ্কজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে পুরো সিস্টেমটি (এফডব্লিউসিএমএস) খতিয়ে দেখার জন্য আরসিআই প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দুর্নীতি মোকাবিলায় আমাদের একটি সামগ্রিক পদ্ধতিতে যেতে হবে। কেউ অভিবাসী শ্রমিকদের পণ্য হিসাবে বিবেচনা করে এ থেকে শুধু লাভবান হওয়া উচিত নয়। তিনি শ্রম দিবস পালনের আগে এমন মন্তব্য করেন।

jagonews24রোববার একটি সংবাদ সম্মেলনে, উত্তর-দক্ষিণ উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা (বাম থেকে দ্বিতীয়) এবং এলএলআরসি-এর কো-চেয়ারম্যান এন গোপাল কিশনাম (মাঝে) এবং চেয়ারম্যান আইরিন জেভিয়ার (ডান থেকে দ্বিতীয়)। ছবি সংগৃহীত।

এদিকে, নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা বলেছেন, বিদেশিকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। যদিও সরকার গত কয়েক বছর ধরে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের প্রক্রিয়া উন্নত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু একই রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমরা দেখতে পাই শতশত অভিবাসী শ্রমিককে চাকরির নিশ্চয়তা ছাড়াই আনা হচ্ছে। এটা জঘন্য। প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো কর্মকর্তা বা মন্ত্রণালয় এই শ্রমিকদের জন্য ভিসা অনুমোদন করেছে চাকরি বরাদ্দ ছাড়াই?

বিদেশিকর্মী রিক্রুটমেন্ট, এম্পলয়মেন্ট এবং রেপাট্রিয়েশন বিষয়ে পাকাতান হারাপান-নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে ২০১৮ সালে গঠিত বিশেষ কমিটির প্রতিবেদনটি জনসমুখ্যে প্রকাশ করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আমাদের সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে। নইলে বছরের পর বছর সমস্যা রয়ে যাবে।

এলএলআরসির অন্যান্য দাবিগুলোর হলো সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন বেতন ১৫০০ রিঙ্গিত নিশ্চিত করা, ২৫ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

মালয়েশিয়া সরকার দেশটির কর্মীদের মতো অভিবাসী কর্মীদের সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশনের সদস্য করেছে যা কর্মী ও কর্মীর পরিবারের আজীবন কল্যাণ নিশ্চিত করেছে।

এমআরএম/জিকেএস