ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

ভিয়েনায় জাতীয় শোক দিবস পালন

রাকিব হাসান রাফি | প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ১৬ আগস্ট ২০২১

ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

প্রত্যুষে দূতালয় এবং বাংলাদেশ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রমের সূচনা হয়। সকাল দশটায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় ও ১৫ আগস্টের সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর
পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।

এ সময় বক্তারা গভীর শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহিদদের স্মরণ করেন। মুজিব জন্মশতবর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির পিতার মহতি জীবন ও কর্মের উপর আলোচনায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।

বক্তারা পঁচাত্তরের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিদেশে পলাতক অপর খুনিদের দেশে ফেরত এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করার জোর দাবি জানান। জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে সম্পৃক্ত হতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আলোচকরা।

jagonews24

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের সকল শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি এবং বিশ্ব শান্তি স্থাপনে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতি চিরদিনের জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে ঋণী। বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই নিরস্ত্র বাঙালি পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত হয়। রাষ্ট্রদূত সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়তে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত দূতাবাসের নিজস্ব ভবনে আরও বর্ধিত পরিসরে সজ্জিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’-এর উদ্বোধন করেন। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের উপর বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য আলোকচিত্র, চিঠি, এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ ও অসামান্য অবদানের আলোকচিত্র সমূহ প্রদর্শন করা হয়।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী দূতাবাসে আগত দর্শনার্থীদের জন্য সবসময় উন্মুক্ত থাকবে।

অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা; এবং দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এমআরএম/এমকেএইচ