ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

সৃজনশীল ভাবনায় জাতিকে আলোর পথ দেখাতে পারে

আম্বিয়া অন্তরা | প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২১

সৃজনশীলতা শব্দটি আধুনিক বিশ্বের প্রগতির ধারক ও বাহক। সৃজনশীলতার ফলেই পৃথিবীর যাবতীয় উদ্ভাবন ও উৎকর্ষ। সৃজনশীলতার মৌলিক সংজ্ঞা বলতে বোঝায় কোনো বিষয় সম্পর্কে নির্দিষ্ট উপায়ে চিন্তার প্রসারণ করা।

হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রিল্যান্ড বলেন, মস্তিষ্কে কোনো বিষয় সম্পর্কে সংকেত দেয়ার পর সে সম্পর্কে মুক্তভাবে চিন্তা করতে দেয়ার নামই সৃজনশীলতা, কেননা এর মাধ্যমেই পরবর্তী কোনো নতুন আইডিয়া পৃথিবীর সামনে উন্মোচিত হতে পারে।

প্রাপ্ত বয়স্ক মানব মস্তিষ্কের আয়তন ১৫০০ ঘন সেন্টিমিটার। ১৫০০ ঘন সে.মি. জুড়ে মানুষের তাবৎ পৃথিবী বিরাজ করে। ভালো খারাপ কিংবা সচেতন অবচেতন সবধরনের যৌগিক চিন্তা-ভাবনা ঘটতে থাকে এই ১৫০০ একরজুড়ে।

সাইকোলজিক্যাল গবেষণা বলে মানুষের চিন্তা-ভাবনার ক্ষমতায় বেশ কিছু ভাগ আছে তার মধ্যে কল্পনা শক্তি একটি। অতএব কল্পনা শক্তি একটি সাইকোলজিক্যাল প্রতিবিম্ব। এ প্রতিবিম্ব কিংবা শক্তির মাধ্যমেই মানুষ সাধারণত সৃজন করে যাকে তথাপি সৃজনশীলতা বলে হয়।

এ সৃজনশীলতা একধরনের নেশার মতো, তবে এ নেশা মানুষকে ভালো কিছু করতে সাহায্য করে। সৃজনশীলতার ধর্মকে কাজে লাগিয়েই পৃথিবী সকল কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক এমনকি বিজ্ঞানীদের জন্ম।

সাইকোলজিক্যাল এক গবেষণায় দেখানো হয়, মস্তিষ্কে সাধারণত দুই ধরনের চেম্বার থাকে, পৃথিবীবান্ধব চিন্তা-ভাবনা ও ধ্বংসাত্মক চিন্তা-ভাবনা। এ পৃথিবীবান্ধব চিন্তা-ভাবনা কিংবা মৌলিক সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনায় মানুষ যখন মশগুল থাকে তার ধ্বংসাত্মক ভাবনার নিউরন সংকুচিত হতে থাকে একইভাবে বাড়তে থাকে মৌলিক সৃজনশীলধর্মী চিন্তা।

ধ্বংসাত্মক চিন্তা সংকুচিত হতে হতে একটা সময় শূন্যের কোটায় চলে যায়। মানুষ হয়ে উঠে নিতান্তই পজিটিভ চিন্তার কিংবা পৃথিবীবান্ধব। যেহুতু সৃজনশীলতা সুন্দরের দর্পন। যারাই এ সৃজন পথে হেঁটেছেন, ইতিহাস বলে তাদের পথচলা ছিল প্রাণবন্ত।

অক্সফোর্ডের এক গবেষণার দাবি, পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষের বৃহদাংশ সৃজনশীল মানুষ। তাই বলা চলে সৃজনশীলতা আদতে মানুষকে আলোর পথ দেখায়। যেমন ভোল্টায়ার বলেন, ‘ক্রিয়েশন তার স্রষ্টার কথা বলে।’ সুতারাং সৃজনশীলতার আর্শিবাদ পৃথিবীকে গড়ে তুলুক আদর্শিক ও আলোময়।

এমআরএম/এমকেএইচ