করোনায় বিপর্যস্ত রেমিট্যান্সযোদ্ধারা
ইসমাইল হোসাইন কষ্টি
বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে আজও মিলছে না মানবজাতির স্বস্তির নিঃশ্বাস। এমন এক কষ্টকল্পিত মুহূর্ত আজ বিশ্বজুড়ে। এই বিপর্যয় কেড়েছে বিশ্বময় শান্তি, কেড়েছে মানবজাতির স্বর্গীয় সুখের দ্বার, কেড়েছে মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষী, কেড়েছে মৃত্তিকা থেকে স্বজন-প্রিয় মানুষগুলো।
কেড়েছে জীবিকা নির্বাহের উপার্জনের ক্ষমতাটুকু। কোথাও নেই আজ স্বস্তির শ্বাস-প্রশ্বাস। আছে শুধু হারিয়ে ফেলার আর্তনাদের নীরবতার চিৎকার। বেদনার মৃত্যুর মিছিলে ঘরবন্দি বিবর্ণ জীবন প্রিয়জনের নিঃসঙ্গ কী ভয়াবহ মর্মান্তিক বিদায় পৃথিবীর প্রতিটা প্রান্তে।
অন্তরে নিস্তব্ধ বেদনায় ব্যথিত সকলে। তবুও থেমে নেই নিশিতে কল্পনাশ্রয়ী নিদ্রাবেশে অতিবাহিত হওয়া দালানকোঠার তীব্র তাপের প্রখরতা কিংবা মরুভূমির তেপান্তরে জীবন-জীবিকার যুদ্ধে সংগ্রামী নিঃসঙ্গ সেই রেমিট্যান্স যোদ্ধাগুলো।
জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে আলিঙ্গন করে যাচ্ছে তারা। কারণ তাদের আলিঙ্গন যদি থেমে যাই, থেমে যাবে একটি পরিবার, একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্রের। অন্ধকারের কালো ছায়া নেমে আসবে তার জীবনে। আলোকচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে তার এবং পরিবারের জীবনপথের আলো, বেঁচে থেকেও পাবে না জীবনপথের সুখময় তৃপ্তি। তাইতো জীবনপথে হাজারো বাঁধা বিপর্যয়কে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে শুধু পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য।
কিন্তু কেউ কি একটুও চিন্তা করে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাগুলোর কথা। কেমন আছে তারা প্রবাসে? এই প্রকম্পিত মহামারির বেষ্টিত ছায়াতলে?
না কেউ চিন্তা করে না! বরং পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে ধিক্কার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিচ্ছেদের বাঁধ তৈয়ার করতে হচ্ছে। কারণ তাদের চোখে এই প্রবাসীরা করোনাভাইরাসের বিস্তারের পথিকশালা। ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে আমাদের মতো প্রবাসীদের লাঞ্ছনা, বাঞ্ছনা ও আশ্রয় স্থল থেকে বিতাড়িত করতে।
অথচ যেই প্রবাসী তার সকল সুখ-শান্তি, আনন্দ-উল্লাস, বিসর্জন দিয়ে পরিবারের সুখের নীড় গড়তে, সমাজ ব্যস্ততাকে সাজিয়ে তুলতে ও দেশকে সমৃদ্ধিশালী করতে নিরলসভাবে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্ত ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস জীবন ঝুঁকির এই সংকটময় মুহূর্তে সেই প্রবাসীদের পাশে নেই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা।
দুরন্ত জীবন যাপন করে যাচ্ছে, বিশ্বের বুকে ১৬৫টি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ রেমিট্যান্সযোদ্ধা। কেউ যেন কারো আপন নয়! এই করোনাভাইরাস তথ্যমূলকভাবে দেখিয়ে দিয়েছে।
দীর্ঘদিন প্রবাস যাপন করে যখন ক্লান্তির বিশাল স্রোতের সমুদ্র নিয়ে, একটু বিশ্রাম করার জন্য পরিবারের কাছে ছুটে যাই। তখনি যে ক্লান্তির তৃষ্ণা আরো বেশি তৃষ্ণার্ত হয়ে হতাশার এবং আর্থিক সংকটের দিকে ধেয়ে নেই। জীবনের শেষ সময়ে এসেও ছাড় দিচ্ছে না পরিবারের সেই সুখের নীড় গড়ার গ্লানির হিসাবটুকু।
তবুও নিজের শারীরতত্ত্বের কথা চিন্তা না করে দিনরাত পরিশ্রমসাধ্য করে যাই জীবনের অন্তিমশয্যা পর্যন্ত একজন প্রবাসী। সেই ইতিহাস আমাদের কারও অজানা থাকার কথা নয়। কারণ, রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে সমাজ ব্যবস্থা পর্যন্ত প্রবাসীদের শ্রম কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কেননা বাংলাদেশর সর্বোচ্চ আয়ের উৎস হচ্ছে প্রবাসীরা। আমরা যদি সেই পরিসংখ্যান দৃষ্টিপাত করি দেখতে পাই।
১৩ জুন ২০১৮, বিবিসি প্রকাশিত পরিসংখ্যা অনুযায়ী প্রবাসী আয়ের সরকারি রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ঘোষণা হয়, বাংলাদেশকে সুখবর দিচ্ছে ২০২০ সালে প্রবাসী আয়। এতে উল্লেখ ছিল কোভিডের প্রভাবে যেখানে সারা বিশ্বে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমবে, সেখানে বাংলাদেশে ২০২০ অর্থ বছরে, বাংলাদেশে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় আসতে পারে। প্রবাসী আয় প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে থাকবে।
‘অভিবাসনের সাপেক্ষে কোভিড-১৯ সংকট’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংক ও নোম্যাডের এক প্রকাশিত পরিসংখ্যা অনুযায়ী তথ্য এসেছে, ২০২১ অর্থ বছর নাগাদ বৈশ্বিক প্রবাসী আয় প্রবাহ ২০১৯ অর্থ বছরের মহামারিপূর্ব পর্যায়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ হ্রাস পাবে।
বৈশ্বিক অর্থনীতি যেখানে চলতি বছর সংকুচিত হবে, সেখানে প্রবাসী আয়ও স্বাভাবিকভাবেই কমবে। তবে বৈশ্বিক মহামারি সত্ত্বেও এ বছর বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মেক্সিকোর প্রবাসী আয় বাড়বে। ২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বাড়বে 8 শতাংশ। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই দেশগুলোর প্রবাসী আয় কমেনি এবং তৃতীয় প্রান্তিক প্রবাহ বেড়েছে।
৩১ অক্টোবর ২০২০, প্রথম আলো প্রকাশিত পরিসংখ্যা অনুযায়ী জানা যাই, প্রবাসী আয়ের পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম। প্রথম স্থানে আছে ভারত (৭৬ বিলিয়ন ডলার), দ্বিতীয় স্থানে চীন (৬০ বিলিয়ন ডলার), তৃতীয় স্থানে মেক্সিকো (৪১ বিলিয়ন ডলার)।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসী আয় গত বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ কমতে পারে। আর ২০২১ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ওই বছর প্রবাসী আয় কমতে পারে ১১ শতাংশ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চিত্রটা খারাপ।
সার্বিকভাবে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বে প্রবাসী আয় কমবে ১৪ শতাংশ। গত এপ্রিলের প্রতিবেদনে, এটা ১৫ শতাংশ হওয়ার আভাস দেয়া হয়েছিল। প্রবাসী আয়ের পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম।
প্রথম স্থানে আছে ভারত (৭৬ বিলিয়ন ডলার), দ্বিতীয় স্থানে চীন (৬০ বিলিয়ন ডলার), তৃতীয় স্থানে মেক্সিকো (৪১ বিলিয়ন ডলার)। তবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) অনুপাতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ-জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ।
এক্ষেত্রে ২৩ শতাংশ নিয়ে প্রথম স্থানে আছে নেপাল, ৯ দশমিক ১ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তান, ৮ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কা।
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, বিশ্বময় করোনাভাইরাসের মধ্যেই প্রবাসী আয়ে আবার রেকর্ড হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এটি গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ এবং একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি।
অর্থাৎ গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়েও বেশি রেমিট্যান্স এসেছে এই আট মাসে। এছাড়া চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে গত অর্থবছরের মার্চের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এবার প্রশ্ন জাগতে পারে এসব তথ্যাদি আমরা প্রতিনিয়ত পাচ্ছি? এরপরেও কেনো তুলে ধরা হচ্ছে! উত্তর যদি দিতে হয় তাহলে বলতে হবে এর পরেও আমাদের বিবেক কেনো সেই প্রবাসীদের উপর অপবাদ দিয়ে ধিক্কৃত করছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, প্রবাসীদের কারণে করোনাভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়ায়। ব্যবসায়ীমহল বলে প্রবাসীদের কারণে করোনাভাইরাস প্রকম্পিত হচ্ছে। জনসাধারণ বলে প্রবাসীদের পরিবারের অসচেতনতার কারণে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস বিস্তাররোধ সম্ভব হচ্ছে না।
দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেকে বলেছেন, প্রবাসীরা দেশে এসে নবাবজাদা হয়ে যান বহু রূপে। প্রশাসনিকভাবে লাঞ্ছনা আর বাঞ্ছনা দূর ব্যবহার স্বীকার প্রতিটা মুহূর্তে।
করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে আজ সেই নবাবজাদা শব্দটি সাথে দুইটি অক্ষর এবং একটা ব্যাক যুক্ত করে বলতে চাই। প্রবাসীরা নবাবজাদা নয়, দেশে নবাবজাদা ভরে গেছে এবং প্রশাসনিক দূর ব্যবহার সীমাহীন ছাড়িয়ে গেছে। তার দৃষ্টান্ত আমরা বিশ্বের বুকে ১৬৫টি দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসী শ্রমিক করোনায় প্রকম্পিত মুহূর্তেও।
নেই কোনো চেতনা! নেই কোনো মানবিকতা কিংবা মানবতা! নেই কোনো স্বদেশ মাতৃত্ব বোধের জন সাধারণের প্রতি রাষ্ট্র পরিচালকের একটু সহানুভূতিশীল আচরণ। প্রতিটা প্রবাসীর জীবন পথের বাঁকে বাঁকে আজ শুধু বেদনাময় আহাজারি করোনাভাইরাস বেষ্টিত সময়ে।
বিশ্বময় পৃথিবী চিন্তিত করোনাভাইরাসের বেষ্টিত থেকে কিভাবে তার দেশের নাগরিককে সুরক্ষা করবে। বিভিন্ন দেশে অস্থানরত নিজ দেশের নাগরিক ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ইতালি কিংবা ভয়াবহ করোনা বেষ্টিত ইউরোপের দেশগুলো থেকে।
আর আমাদের প্রিয় স্বদেশ মা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষা চিরো মায়ামমতা অঙ্গে মাখা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ থেকে আহ্বান জানিয়েছে (হে বাংলাদেশের নাগরিকরা দেশে ফিরবেন না)। ছুটিতে থাকা হাজার হাজার প্রবাসী আজ করোনাভাইরাসের কবলে থেকে থমকে গেছে। নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছে। তবুও আজ রাষ্ট্রের কোনো বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে না। দুঃখে দুঃখে জীবনে কঠিন সময় অতিক্রম করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র পরিচালক কয়েক দফায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকার সহায়তা ঘোষণা করেছে মহামারি দুর্ভোগের কবলে থাকা মানুষগুলোর জন্য। যার মধ্যে ধনী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষও আছেন। আছেন চিকিৎসক–স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কিন্তু প্রাবাসীরা নেই। অথচ প্রবাসীদের উপার্জনের অর্থ থেকে গড়ে উঠে রাষ্ট্রের রাজস্ব আয়ের বড় অংশ এবং বিলাশবহুল বাজেটসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পরিচালনার সিদ্ধান্ত। শুধু মুখে মুখে কথার বুলি প্রবাসীদের অবদানের কথা বলতে। যারা ১৬ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়ে উন্নয়নের চাকা ঘুরাছে, অথচ তাদের জন্য কোনো সহানুভূতির সহায়তা নেই।
রাষ্ট্র পরিচালনা আজও করোনাভাইরাস প্রকম্পিত মুহূর্তে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স থেকে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য বৈধভাবে অর্থ লেনদেন নিষ্পত্তির প্রণোদনার বৃদ্ধি করে ২০২০-২০২১ অর্থ বাজেট এর রূপরেখা প্রস্তুত করছে। কিন্তু প্রবাসীদের করুণ সময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সময়ের অলোকে দৃষ্টিপাত করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো সহানুভূতির পথের আভাস পাওয়া যাচ্ছে না।
আজ আমরা প্রবাসীরা অনেক অসহায় আর নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছি প্রবাসে কিংবা স্বদেশ মৃত্তিকাতে। করোনাভাইরাসের প্রকোপে আজ এক বছরের অধিক হয়ে গেল। প্রবাসে অবস্থানরত প্রবাসীদের দুঃখ, কষ্টকল্পিত জীবন সংগ্রামের বেড়ে চলেছে দৈনন্দিন।
ভিসার জটিলতা, লকডাউনে কাজ হারিয়ে দেউলিয়া, বেতন পাচ্ছে না লকডাউনের স্বীকার হয়ে, নিজস্ব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস বন্ধ হয়ে আছে, মিলছে না খাবার-দাবার, পরিবারের দূরস্থ জীবন যাপন, সংসার চলাতে হিমসীম, ঈদের আমেজ নেই প্রবাসী এবং তার পরিবারের।
বর্তমান মহামারিতে অন্ধকারের কাল গ্রহে হারিয়ে যাচ্ছে কর্মহীন প্রবাসী এবং পরিবার। পুরো বিশ্বজগৎ আজ মহামারি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কঠিন থেকে কঠিনতর সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু অপর দিকে আমাদের মতো শ্রমিক প্রবাসীরা জীর্ণশীর্ণ জীবন বয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। পঙ্গত্ব জীবনযাপন এর চাইতে কঠিন জীবনযাপনের দিকে দাবিত হচ্ছে প্রবাসে কিংবা দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা।
আশার আলো আজও উদিত হচ্ছে না রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে। দূতাবাসও আজ পাশে নেই প্রবাসীদের। কষ্টে অনাহারে দিন যাচ্ছে হাজার হাজার বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকদের। ধার-দেনা আজ জর্জরিত হয়ে পরিবার পরিজন দরিদ্রতা চেয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।
জানি না কবে পরিত্রাণ পাবে এই বিশ্বময় করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে! কবে উড্ডীন হবে সেই মুক্ত বিহঙ্গের আলো বাতাসে বিশুদ্ধ সূর্যে বিকরণ! কবে মিলবে সেই স্বস্তির নিঃশ্বাসের কার্বনডাই অক্সাইড! দুই নয়নের দৃষ্টিপাতে ইচ্ছা শক্তির সেই দূরন্ত ছুটে চলার স্বাধীন কারামুক্তি।
আজ বিশ্বজগৎ শুধু মহান সৃষ্টি জগতের স্রষ্টার প্রতি পাপপুণ্যতার ক্ষমাপ্রার্থনা কারী। তিনি মহামারির সকল দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ দেয়ার একমাত্র মালিক। তারই কাছে প্রত্যাশা সকল কষ্টের অবসান করে, নতুন সূর্যোদয় অপেক্ষা বিশ্বময় পৃথিবী।
অতিথি লেখক, ইসমাইল হোসাইন কষ্টি/কাতার থেকে
এমআরএম/জিকেএস