বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে গেলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে আসা বিমানযাত্রীদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধির নতুন এ নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক সপ্তাহ ধরে আবার সংক্রমণ বাড়ার ফলে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
প্রথম দফা সংক্রমণ কমে আসলেও এক সপ্তাহ ধরে নিউইয়র্কে আবার সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে শীতও পড়তে শুরু করেছে। স্বাস্থ্যসেবীরা আবার নতুন করে ব্যাপক সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। দেশটির নগর ও রাজ্য প্রশাসন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিশ্বের ৩১টি দেশের নাগরিকদের জন্য করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা শিথিল। বাংলাদেশসহ বাকি দেশগুলোর নাগরিকদের নিউইয়র্কে আসলে অবশ্যই অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক ফরম পূরণ করতে হবে। এসব দেশ থেকে আসা লোকজনকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে থাকতে হবে।
শিথিলযোগ্য ৩১টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। ফলে বাংলাদেশ থেকে গেলেই স্বাস্থ্য ফরম পূরণ ও ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে।
গভর্নরের স্বাক্ষর করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ভ্রমণকারীদের মধ্যে যারা লেভেল-২ ও লেভেল-৩ ভুক্ত দেশ থেকে নিউইয়র্কে আসবেন, তাদের বেলায় এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য বিভাগের চলমান নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্যগুলো থেকে আসা লোকজনের ওপর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা আছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের বেলায় করোনা পরীক্ষায় শিথিলতা দেখিয়ে আসছিল।
বিমানবন্দরগুলোতে শিথিলতার কারণে বিভিন্ন দেশে আবার নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন করে সংক্রমণ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে গিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
কোয়ারেন্টিনের আওতাবহির্ভূত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের আশপাশের দেশগুলোর মধ্যে কেবল তাইওয়ান ও থাইল্যান্ডের নাম রয়েছে। কোভিড-১৯-এর সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
দুই লাখের বেশি মানুষ এরই মধ্যেই মারা গেছে। প্রতিদিন এই মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। নিউইয়র্ক করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর নগর। শুধু নিউইয়র্কেই ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এমআরএম/এমকেএইচ