ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

করোনা: হাঙ্গেরিতে অনিশ্চয়তার দোলাচলে বাংলাদেশিরা

প্রবাস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ২৯ জুন ২০২০

জেরিন ফাতেমা, হাঙ্গেরি থেকে

হাঙ্গেরিতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন করে মাত্র চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনের ব্যবধানে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এখন পর্যন্ত পূর্ব ইউরোপের এ দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৪৫ জন। সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৮৫ জন এবং চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬৮৫ জন।

করোনা পরবর্তী সময়ে হাঙ্গেরিতে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনীতিকে পুনরায় সচল করা। ইউরোর বিপরীতে হাঙ্গেরির জাতীয় মুদ্রা হাঙ্গেরিয়ান ফরেন্টের অস্বাভাবিক দরপতন ঘটেছে। আজকের দিনে হিসেবে প্রতি ইউরোর বিপরীতে ৩৪৪ হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট পাওয়া যাচ্ছে, অথচ বছরখানেক আগেও প্রতি ইউরোর বিপরীতে ২১০ ফোরিন্ট পাওয়া যেত।

দেশটির অনেক অর্থনীতিবিদ ধারণা করছেন, যে কোনও সময় মূল্যস্ফীতি চরমে পৌঁছাতে পারে। সবমিলিয়ে হাঙ্গেরিতে দুইশো এর কাছাকাছি বাংলাদেশির বসবাস রয়েছে, তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে পর্তুগাল, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, অস্ট্রিয়া এ সকল দেশে যারা প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিক মর্যাদার দিক থেকে হাঙ্গেরিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখনও সে জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। হাঙ্গেরিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তাদের জীবনকে অনিশ্চয়তার দোলাচলে ঠেলে দিয়েছে।

পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত ৩৫,৯১৯ বর্গমাইলের দেশ হাঙ্গেরি। কার্পাথিয়ান বেসিনে অবস্থিত এ দেশটির উত্তরে রয়েছে স্লোভাকিয়া, উত্তর-পূর্বে ইউক্রেন, পূর্বে রোমানিয়া, দক্ষিণে সার্বিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিমে যথাক্রমে স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া এবং পশ্চিমে রয়েছে অস্ট্রিয়া।

সব মিলিয়ে পূর্ব ইউরোপের এ দেশটিতে এক কোটির মতো মানুষ বসবাস করেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো হাঙ্গেরিও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি। তবে ইদানিং ইউরোপের অন্যান্য অনেক দেশের মতো হাঙ্গেরিতেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং একই সাথে নতুন করে মৃতের সংখ্যা একেবারে কমে এসেছে।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত ১ কোটির বেশি। মৃতের সংখ্যা ৮ লাখের বেশি। তবে ৫০ লাখ ৬০ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।

এমআরএম/এমকেএইচ