ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

করোনা : বিশ্বে দ্বিতীয় এবং ইউরোপের প্রথম নিরাপদ দেশ জার্মানি

হাবিবুল্লাহ আল বাহার | প্রকাশিত: ০৮:৫২ এএম, ১৫ এপ্রিল ২০২০

কোভিড ১৯ বা করোনাভাইরাস থেকে মানুষ কোথায় বা কোন দেশে বেশি সুরক্ষিত? বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলো যখন করোনা সংক্রমণে নাজেহাল তখন এ প্রশ্ন পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের। আর এর উত্তর খুঁজতে লন্ডন ডিপ নলেজ গ্রুপ (ডিকেজি) শতাধিক দেশের একটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। লন্ডন ডিপ নলেজ গ্রুপের (ডিকেজি) র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী জার্মানি বর্তমানে ইউরোপের সবচেয়ে নিরাপদ ও স্থিতিশীল দেশ। আর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় নিরাপদ দেশ। করোনাভাইরাসের এই সংকটকালীন সময় জার্মানি খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছে এই র‌্যাঙ্কিং তৈরি করা প্রতিষ্ঠান ডিকেজি। জার্মান পত্রিকা স্পিগেল জানিয়েছে ইসরাইল বর্তমানে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং করোনা সংকটকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করছে তারা।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রাথমিক যে নিষেধাজ্ঞাগুলো চালু হয়েছিল সেগুলো লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, কোভিড ১৯ পরীক্ষার সহজলভ্যতা এবং হাসপাতালগুলো কতটা প্রস্তুত রয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে এই র‌্যাঙ্কিং করেছেন ডিকেজির ডেটা বিশ্লেষকরা। র‌্যাঙ্কিং অনুসারে ইউরোপে জার্মানির পরে সুইজারল্যান্ড (১১ তম স্থান) এবং অস্ট্রিয়া (১২ নম্বরে অবস্থিত) সবচেয়ে সফলভাবে সংকট ব্যবস্থাপনা করেছে। শতাধিক দেশের র‌্যাঙ্কিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালিকার ৭০ তম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং চীন বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে রয়েছে।

‘ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় জার্মানি বর্তমানে সেরা সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছে এবং সংকট ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ জার্মানি’ বলেছেন ডিকেজির প্রতিষ্ঠাতা ও ডেটা অ্যানালিস্ট দিমিত্রি কামিনস্কি।

jarmani-2

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে উচ্চ সংক্রমণের হার রোধে জার্মানি চূড়ান্তভাবে দক্ষ হয়েছে এবং অন্যান্য দেশের স্তরে না পৌঁছে এই রোগের বিস্তারটি সফলভাবে বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয়েছে যা এই করোনা মহামারির পরে জার্মানিকে যথেষ্ট অর্থনৈতিক সুবিধা দেবে।’

এদিকে ইউরোপের দেশ জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৬৮ হাজার ২০০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যা মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি। আর দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ২৯৪ জন।

এমএফ/জেআইএম