ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

সিরীয় শরণার্থীদের ঠাঁই মিলছে না সাইপ্রাসেও

প্রবাস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩৩ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২০

মো. মাহাফুজুল হক, সাইপ্রাস থেকে

প্রায় ২০০ সিরিয়ান শরণার্থী কঠোর প্রতিকূলতার পরে উত্তর সাইপ্রাসে আটকা পড়েছে। সিরিয়া থেকে সমুদ্রপথে সাইপ্রাস আসার সময় শুক্রবার তাদেরকে দেশটির বর্ডার থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১৫ মার্চ থেকে সাইপ্রাস বিমান পথ, নৌপথ সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সাইপ্রাসের বাসিন্দারাই দেশটিতে চলাফেরা করতে পারবে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোন্সতান্দিনুস পেট্রাডিস জানান, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে সাইপ্রাসে মাত্র পাঁচ বছরে ১ লাখ আশ্রয়প্রার্থী, শরণার্থী এবং অর্থনৈতিক অভিবাসী থাকবে বলে জানিয়েন। সাইপ্রাসের মতো একটা দেশে এতগুলো শরণার্থী বহন করা কিছুতেই সম্ভব নয়।

দেশটি সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ৫ হাজার আশ্রয়প্রার্থীদের সাইপ্রাস থেকে নিয়ে অন্য কোথাও পুনর্ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মতে, সারা ইউরোপ আমেরিকায় প্রতি বছর ২৫০ মিলিয়ন থেকে ৩০০ মিলিয়ন লোক শরণার্থী হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ মিলিয়ন জেনেভা কনভেনশনের অধীনে শরণার্থী হিসাবে স্বীকৃত।

বর্তমান ইউরোপের দেশগুলিতে জনসংখ্যা ও আয়তনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি শরণার্থী বহন করছে সাইপ্রাস। সাইপ্রাসে বর্তমানে ৩৩ হাজার শরণার্থী রয়েছে। এটি জনসংখ্যার প্রায় ৩.৫ শতাংশ। এই শতাংশটি ইইউতে বৃহত্তম একটি অংশ।

যেটা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় ইতালিতে এই সংখ্যা ছিল ০.৪ শতাংশ, স্পেনে ০.০৬ শতাংশ, অন্য ১১ টি ইইউ দেশের ক্ষেত্রেও এই হার ০.১ শতাংশের নিচে।

সাইপ্রাসে শরণার্থী বেড়ে যাওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘অ্যানক্রোনালিস্টিক সিস্টেম’ কে দায়ী করছে সাইপ্রাস সরকার। সিরিয়ান শরণার্থীদের পাশাপাশি এখন আফ্রিকা, ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে প্রতিদিন যে হারে শরণার্থীরা সাইপ্রাসে ঝাঁপ দিচ্ছে, সাইপ্রাস সরকার
অচিরেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

এদিকে, ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ইতালি ও স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইতালি ও স্পেন দুই দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন, আর স্পেনে ১ লাখ ৪ হাজার ১১৮ জন।

এরপরের অবস্থানে রয়েছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। দেশটিতে ৮১ হাজার ৫৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৩১২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৬ হাজার ২৩৮ জন।

এমআরএম/এমকেএইচ