জর্ডানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন
জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মানের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে। গণজমায়েতের উপর জর্ডান সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্বল্প পরিসরে এই অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়।
দিবসের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও তরজমা এবং সেই সঙ্গে মােনাজাত করা হয়। জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অংশ নেন প্রবাসীরা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের অবিসংবাদিত কিংবদন্তী নেতা। ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া সেই খােকার সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস ও আত্মপরিচয় ওতপ্রােতভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু না হলে আজ আমরা আজকের বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সােনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার সফল নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশ যেভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রােল মডেলে পরিণত হয়েছে তার বীজ রােপণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন আমাদের দেশপ্রেম ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগায়। তার অবিচল ও অসিম মমত্ববােধ বাংলাদেশের ভিত্তিমূল রচনায় এক অবিসংবাদী নেতার আত্মত্যাগ হিসেবে বাঙালি জাতি আজীবন স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তির প্রতীক, ঐক্যের প্রতীক। তার যে ঐক্যের ডাকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার সংগ্রামে এগিয়ে এসেছিল ঠিক একইভাবে তার ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আজকে আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বাংলাদেশকে এবং জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিকে।
রাষ্ট্রদূত বক্তব্য শেষে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের উদ্বোধন করেন। সভার শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।
এমআরএম