ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

আম্মানে বিজয় দিবস উদযাপন

সেলিম আকাশ | প্রকাশিত: ০১:০৪ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

যথাযথ ভাব গাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জর্ডানের আম্মানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিবসের শুরুতেই জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

কার্যদিবসের সূচনা করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও জর্ডানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলায়াত করেন কনসুলার সহায়ক মো. মহিউদ্দিন। প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. বশির মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ মুক্তিযুদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো সব বীর নারীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার অসামান্য অবদান তুলে ধরেন।

দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের গৌরবময় অভ্যুদয়ে যে সূর্য সন্তানেরা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আমরা কখনই তাদের ঋণ শোধ করতে পারব না। ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের সর্বদাই সচেষ্ট থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তার সফল নেতৃত্বগুনে বাংলাদেশ যেভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে দেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসে প্রত্যেক বাংলাদেশিই একজন বাংলাদেশের প্রতিনিধি। তাই এখানে সকলকেই দেশের সুনাম বিনষ্ট হয় এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি জর্ডানের প্রচলিত আইন মেনেই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সকলকে আরও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।

দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. বশিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা শেষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ ও জাতির সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। শেষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

এমআরএম