ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

আমিরাতে জাতীয় শোক দিবস পালন বাংলাদেশ সমিতির

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন | প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পবিত্র খতমে কোরআন আদায় ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ সমিতি।

এ সময় সহ-যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী আশিষ কুমার বড়ুয়ার পরিচালনায় ও সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রদূত ডা. মুহাম্মদ ইমরান।

প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক নাছির তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক মিজান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শেখ যায়েদ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হাবীবুল হক খন্দকার, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু, জনতা ব্যাংক আবুধাবি শাখার ম্যানেজার মুহাম্মদ আবদুল হাই, গোলাম কাদের ইফতি, উত্তম হাওলাদার ও বশির ভূইয়া।

এ ছাড়া শেখ রুহুল আমিন, মুহাম্মদ জাকের হোসেন জসিম, লুৎফর রহমান, ফজলে করিম চৌধুরী, আবদুস সামাদ, শাহেদ নুর, সজল চৌধুরী, আকতার হোসেন রাজু, শেখ কামাল, আইয়ুব খানসহ আমিরাতের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব রেয়াজুল হক, প্রথম সচিব জুবায়েদ হোসেন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএই’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম ও সাংবাদিক মুহাম্মদ আবদুল মন্নান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আমিরাত সফরের সময় বাংলাদেশ সমিতি ইউএই গঠিত হয়। এটি হলো বঙ্গবন্ধুর আমিরাত সফরের ফসল। এ সমিতির মাধ্যমে জাতির জনকের শোক দিবসসহ জাতীয় সব অনুষ্ঠান পালন করতে হবে অন্যথায় এই সমিতিকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হবে না এবং সমিতির নামের আগে বাংলাদেশ তথা দেশের নাম ব্যবহারে বাধা থাকবে বলে মন্তব্যে করেন রাষ্ট্রদূত। এ ব্যাপারে তিনি সমিতির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

তবে দীর্ঘদিন পর হলেও বাংলাদেশি সমিতির আয়োজনে এই প্রথম জাতির জনকের শোকসভা পালন করায় তিনি সমিতির আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

এ সময় সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সমিতি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এ সংগঠনে আমরা সবাই বাংলাদেশি। এটা আমিরাতের সব প্রবাসীর সংগঠন।

তিনি বলেন, আজকে জাতির জনকের শোক দিবস পালন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমার ১০টি ধাপের মধ্যে একটি সম্পন্ন হয়েছে বাকি ৯টিও পূরণ হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর জাতির জনকের শোক দিবসসহ দেশের সব জাতীয় উৎসব পালন করবে বাংলাদেশ সমিতি। সুতরাং কারো বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।

সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন মাওলানা মমতাজুল হক এবং সবশেষে মেজবানের তবরুক গ্রহণ করেন অতিথিরা।

এমআরএম/এমকেএইচ

আরও পড়ুন