স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার বাংলাদেশির
স্ত্রীকে ৫৮ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি জালাল উদ্দীন (৪৭)। বুধবার লন্ডনে তার বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
জালাল আদালতকে বলেছেন, তার জুয়া খেলার আসক্তির বিষয়টি দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা বেগমের কাছে ধরা পড়ে যায়। পরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে স্বামী।
প্রসিকিউটর জানান, লন্ডনের জুয়া ঘর উইলিয়াম হিল এর পূর্ব লন্ডনের একটি শাখায় জালাল উদ্দীন নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখানকার লোকজন তাকে ‘এ্যাংরি ইন্ডিয়ান’ বলে জানতেন। সে একবারে জুয়ার মেশিনে ১০০০ পাউন্ড পর্যন্ত হারতেন।
এ আইনজীবী জানান, কথা কাটাকাটির জেরে স্বামী জালাল স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন। স্ত্রী আসমাকে খুনের আগের দিন তার অ্যাকাউন্ট থেকে দুইশ পাউন্ড তুলে নেন জালাল। স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যয় নির্বাহের জন্য তিনি একপর্যায়ে জুয়া খেলাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
মামলার শুনানিকালে প্রসিকিউটর ডেনিয়েল আদালতকে বলেন, তিন সন্তানের জননী আসমা বেগমকে ছুরি দিয়ে জঘন্যভাবে আঘাত করা হয় অন্তত ৫৮ বার। পোস্টমর্টেমের সময়ে ডাক্তাররা আসমা বেগমের শরীরে মোট কতটা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তা পুরোপুরি গণনা করতে পারেননি বলেও কোর্টকে জানান রবিনসন।
জানা গেছে, জালাল পেশাদার জুয়াড়ী ছিলেন। জুয়ার অর্থ জোগাতে সন্তানদের চাইন্ড বেনিফিটের টাকাও তিনি কেড়ে নিতেন স্ত্রীর কাছ থেকে। আসমা বিভিন্ন সময় স্বামীকে জুয়ার নেশা থেকে ফেরাতে বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
স্বজনরা জানিয়েছেন, ওইদিন (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত আসমা ও তার ঘাতক স্বামী জালাল ঘরে ছিলেন। এ সময়ের মধ্যেই আসমাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে লাশ বেডরুমের ওয়ারড্রোবে ঢুকিয়ে দেন জালাল।
সন্তানের জননী আসমা বেগম সিলেটের সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আটঘর গ্রামের মেয়ে আসমা বেগমকে (৩১) বিয়ে করে ২০০৭ সালে লন্ডনে নিয়ে আসেন তার স্বামী জালাল উদ্দীন।
ফিরোজ আহম্মেদ (বিপুল), লন্ডন
এমআরএম/জেআইএম