পর্তুগিজের নাগরিক হতে আগ্রহ বেড়েছে বাংলাদেশিদের
পর্তুগিজের নাগরিক হতে চাওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পর্তুগিজের নাগরিক হতে চেয়ে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে গত বছর। ২০১৭ সালের তুলনায় গত বছর ১৬৫ শতাংশ আবেদনের হার বেড়েছে বাংলাদেশি আবেদনকারীদের।
বর্তমানে ৫ হাজার ৩২৫ জন বাংলাদেশি পর্তুগিজ নাগরিক রয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে পর্তুগাল বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস (এসইএফ)। সংস্থার ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ইমিগ্রেশন বর্ডার অ্যান্ড অ্যাসাইলাম রিপোর্ট ২০১৮ অনুযায়ী, পর্তুগালের অভিবাসীদের ৩৩.৭ শতাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিক। যদিও ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ব্রাজিলের মানুষ পর্তুগিজ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, প্রায় ২৮ হাজার ২১০ জন।
পক্ষান্তরে ইতালির ৬ হাজার ৯৮৯ জন, ফ্রান্সের ৫ হাজার ৩০৬ জন, বৃটিশ ৫ হাজার ৭৯ জন এবং বাংলাদেশের ৫ হাজার ৩২৫ জন, যা ২০১৭ সালের চেয়ে ১৬৫% বেশি।
২০১৮ সালে ৯৩ হাজারের বেশি অভিবাসী পর্তুগালে বৈধ কাগজপত্র পেয়েছেন যা ২০১৭ সালের থেকে ৫১.৭ ভাগ বেশি। এসইএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন বৈধ হওয়া অভিবাসীদের বেশিরভাগই হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেপালের নাগরিক।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পারিবারিক পুনর্মিলনী ভিসা, প্রফেশনাল ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসার হার ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। এ সময় গোল্ডেন রেসিডেন্ট পারমিট ভিসা অনুমোদন করা হয় ১ হাজার ৪০৯টি এবং তাদের পরিবারের জন্য আরও আড়াই হাজার ভিসার আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
এসইএফের প্রতিবেদন বলছে, গত বছর পর্তুগালে ৮৪৮ মিলিয়ন ইউরো গোল্ডেন রেসিডেন্ট পারমিট ভিসায় আওতায় বিনিয়োগ হয়েছে যার মধ্যে ৭৬২ মিলিয়ন ইউরো সরাসরি ১ হাজার ৩৩২টি আবাসন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে বিনিয়োগ হয়েছে।
মো. রাসেল আহম্মেদ/এসআর/এমকেএইচ