ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

ফখরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ০২:১১ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৯

বিনম্র শ্রদ্ধা আর অফুরন্ত ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৯ উদযাপন করেছে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এ উপলক্ষে রোববার রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার নেতৃত্বে শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতেই রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা অনুষ্ঠানে আগতদের স্বাগত জানান। তিনি শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত। বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালবাসতেন, শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নিত। আর তাই এই মহান নেতার জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

এ সময় রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন গড়ার ও বঙ্গবন্ধুর মতো মানবীয় গুণাবলী সম্পন্ন হয়ে দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

পরে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর উম্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা অংশ নেন। এ সময় তারা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তশালী করার আহ্বান জানান।

পরে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের কাছে বিতরণকৃত জাপানি ভাষায় অনুদিত ‘মুজিব’ বইয়ের উপর কুইজ এবং ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ের উপর ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে আগত সব শিশুকেই উপহার দেয়া হয়। পরে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে আরও আনন্দময় করতে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন।

এ সময় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএমজেড

আরও পড়ুন