কুয়েতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন
কোনো এক সময় বাংলাকে বলা হত বিদ্রোহীদের দেশ। বাঙালির ইতিহাস হাজার বছরের শোষণের ইতিহাস। এখানকার মানুষেরা শোষিত হয়েছেন উপনিবেশিকদের চাবুকে।
শোষিত হয়েছেন নিজ গোত্রের শাকদের যাতাকলে। সব অন্যায় আর শোষণের বিরুদ্ধে বারবার বিদ্রোহ করেও মুক্তির মশাল অধরাই থেকে গেছে বাঙালির। বিদ্রোহের আগুন ক্ষণে ক্ষণে জ্বলে উঠলেও শোষকের ফুৎকারে নিমিষেই যেন, তা মিলে
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টায় দিবসটি উপলক্ষে দেশটির মাল্টিপারপাস হলে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় চারটি বিভাগে প্রায় শতাধিক শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। শিশুরা বঙ্গবন্ধু, স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার ও গ্রাম বাংলার প্রকৃতির বিভিন্ন দৃশ্য অঙ্কন করে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিলর দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সঞ্চালনায় কুরআন থেকে তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাণী সমূহ একে একে পাঠ করে শোনান। বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও দিবসরে ওপর আলোচনা করা হয়।
পরিশেষে চারটি বিভাগে চিত্রাঙ্কর প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম ও দূতাবাস কর্মকর্তারা।
এ সময় পাসপোর্ট ও ভিসা সচিব ও কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম খাঁন, ব্রিগিডিয়ার শাহ সগিরুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মজুমদার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম, ফরিদ উদ্দিনসহ কুয়েতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম