নিউজিল্যান্ডে নিহতদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদসহ দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম সুফিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া দুই বাংলাদেশি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ও গুরুতর আহত হয়ে ৫ জন আছেন হাসপাতালে।
নিউজিল্যান্ডের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান ভুঁইয়া জানিয়েছেন নিহতরা হলেন ড. আব্দুস সামাদ ও হোসনে আরা।
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবদুস সামাদ। হামলার সময় আব্দুস সামাদের সঙ্গে তার স্ত্রী ছিলেন। স্ত্রীর নাম জানা যায়নি। তবে তিনি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
হোসনে আরার বিস্তারিত আর কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শফিকুর রহমান ভুঁইয়া আগামীকাল সকালে ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছাবেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদ এক বন্দুকধারী ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকেন। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে ছিলেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৪০।
হামলার ভিডিও লাইভ করার পাশপাশি একটি ম্যানিফেস্টোও প্রকা্শ করেছেন হামলাকারী। নিজেকে ব্রেনটন ট্যারেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছেন। ইসলামপন্থি জঙ্গি ও অভিবাসীদের ওপর ক্ষোভ থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ম্যানিফেস্টোতে। তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপের মাটিতে সরাসরি অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতেই তিনি এই হামলা চালিয়েছেন।
যে মসজিদে এই হামলা চালানো হয়েছে ওই মসজিদেই জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেট দলের সদস্যরা। পথিমধ্যে তাদের আটকে দেন বাসের পাশেই গাড়িতে থাকা আহত এক নারী। তিনি মুশফিক-তামিমদের বারণ করেন সামনের দিকে যেতে। তখনো ক্রিকেটাররা জানতেন না কী হয়েছে সামনে, কেনোই বা যেতে বারণ করা হয়েছে। পরে সেই নারীই জানান মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে এবং আশপাশের অনেকেই গুলিবিদ্ধ।
হামলার এ ঘটনায় চারজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী এবং তিনজন পুরুষ।
জেপি/এমআরএম/এনএফ/এমএস