মালয়েশিয়ায় আগুনে নিহত জহিরুলের বাড়ি সিলেটে
মালয়েশিয়ার ইপু পেরাকের একটি ভবনে আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সিলেটের জহিরুল ইসলাম (২৭)। সিলেটের গোলাপগঞ্জের খর্দ্দাপাড়া গ্রামের মৃত. ডা. হাসিবুর রহমানের বড় ছেলে জহিরুল ইসলাম। তার মৃত্যুর খবর শুনে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জহিরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া আসেন জহিরুল। পরবর্তীতে রি-হিয়ারিংয়ের আওতায় বৈধতা নিয়ে মালয়েশিযার ইপু-পেরাকে কাজ করছিলেন। কথাছিল আগামী মাসে সে দেশে যাবেন। বিধিবাম তার আর যাওয়া হলো না দেশে।
ইপু পেরাকের একটি ভবনে আগুনে বাংলাদেশি জহিরুলসহ এ দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন মালয় ও দুইজন ভিয়েতনামের নাগরিক রয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার ভোরে ভবনটিতে আগুন লাগলে ঘটনাস্থলেই ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ৬ জন মারা যান। নিহতরা হলেন স্থানীয় তাই চেই কিন (৩৭), লাউ ওয়াই হুং (৩৬), দুই ভিয়েতনামি নারী নুগু ইয়েন থি থু ডুং (২১), নিউ ইয়েন থি ট্র্যাং (১৯)।
পেরাক ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ সাইদন জানান, ভোর ৫টা ৪৯ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত।
নিহতদের মরদেহ পেরাকের রাজা পারমাসুরি বাইনুন হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জহিরুলের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে জহিরুলের মৃত্যুতে মালয়েশিয়ার জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ও সিলেট ডায়নামিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিএ