রিয়াদে ‘টিকটক মিউজিক্যালি’ গ্রুপের হ্যাংআউট
বিশ্বজুড়ে হইহই রব তোলে মিউজিক্যালি ‘টিকটক’ অ্যাপ। সেই রবেই এখন বেড়ে গেছে অ্যাপটির ডাউনলোডের পরিমাণ। টিকটক মিউজিক্যালি, যা এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এর ইউজার ছোট বড় সকলেই।
প্রাথমিকভাবে টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমিং ২০১৬ তে এ অ্যাপটি অনলাইনে নিয়ে আসলেও ২০১৮ থেকে ব্যাপকহারে পরিচিতি পেয়েছে।
আর এসব ইউজাদের বড় একটি অংশ রয়েছে বাংলাদেশেও। এটি এমন একটি অ্যাপ যার মধ্যে দেখা মেলে ছোট বড় বৃদ্ধ সবার। প্রবাসী থেকে শুরু করে সেলিব্রেটি পর্যন্ত এ অ্যাপে মেতে থাকেন। ভিডিওগুলো রীতিমতো ভাইরাল হয়।
টিকটক বলছে, গত মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত অন্য চার অ্যাপের চেয়ে টিকটকের দৈনিক ডাউনলোড ছিল ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। তখন থেকে অ্যাপটির বাজার শেয়ার শুধু বেড়েছেই। গত ৩০ অক্টোবর অ্যাপটির ডাউনলোডের বাজার শেয়ার দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ।
সেপ্টেম্বরে আগের মাসের চেয়ে টিকটক ৩০ শতাংশ বেশি ডাউনলোড হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটির অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস সংস্করণ ডাউনলোড হয়েছে ৩৮ লাখের বেশি। ফেইসবুকের ডাউনলোড সেখানে ছিল ৩৫ লাখের কোটায়।
সৌদি আরব রিয়াদে টিকটক ইউজারদের নিয়ে করা হয়েছে গ্রুপ হ্যাংআউটে। আরবের রিয়াদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৫০ টিকটক ইউজার উপস্থিত হয়েছিলেন। বেশকিছু ফিল্টার ও ফিচার আনার ফলেই তরুণরা টিকটকের দিকে ঝুঁকেছে বলে বলছেন অনেকেই।
রিয়াদ টিকটক গ্রুপে মুখোপাত্র সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছোট বেলা থেকে আমার অভিনয় করার খুব ইচ্ছে ছিল। কোনো প্রকার সুযোগ না থাকাতে সেটি আর করা হয়নি। তবে এ টিকটক মিউজিক্যালির মাধ্যমে অনেকে তাদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারছেন। পাশাপাশি অবসর সময়ে তারা অন্যদের বিনোদন দিতে পারছেন।’
এ গ্রুপ থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি এমন প্রশ্নে সোহেল বলেন, ‘গ্রুপে রিয়াদের বাহিরের অনেকে যুক্ত হতে চাচ্ছেন। সবাইকে নিয়ে বড় একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা এবং এ গ্রুপ থেকে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে।
বর্তমানে অ্যাপটির ডাউনলোডের পরিমাণ ১০ কোটির বেশি। টিকটক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্টার্টআপের তকমা পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য সাত হাজার ৫০০ কোটি ডলার।
এমআরএম/এমএস