ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

‘গণতন্ত্রের মূল নির্যাস অর্থনৈতিক মুক্তি’

প্রবাস ডেস্ক | মালয়েশিয়া | প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৮

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, গণতন্ত্রের মূল নির্যাস হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি। আর এ অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য উন্নয়নের বিকল্প কিছু নেই। বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ প্রগতি ও উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান।

শনিবার (৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের উপস্থাপনায় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগ ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে রাষ্ট্রদূত প্রবাসী সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ স্লোগানে দেশের উন্নয়নের বর্তমান অবস্থান সমগ্র জাতি ও বিশ্বের কাছে তুলে ধরার অভিপ্রায়ে দেশব্যাপী এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সমূহে ‘উন্নয়ন মেলা’ আয়োজন করা হয়েছে।

mala3

এর অংশ হিসেবে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস শনিবার (৬ অক্টোবর) উন্নয়ন মেলার আয়োজন করে। দূতাবাস প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য এই মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম।

মেলায় মালয়েশিয়া প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ও বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। ‘৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা’ শীর্ষক এই আয়োজনে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়।

এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্রমধারা বিশ্লেষণ করেন এবং বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নদর্শন ও উন্নয়ন কৌশল আজো আমাদের কাছে জাজ্বল্যমান এবং তার নীতি, আদর্শ ও কর্ম পদ্ধতি অবলম্বন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেধা ও গতিশীল নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে উন্নত আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে মালয়েশিয়ার অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী এবং এশিয়ায় সর্ববৃহৎ রফতানি বাজার। দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে শ্রম রাফতানি হচ্ছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মরত অবৈধ শ্রমিকদের রি- হিয়ারিং প্রক্রিয়ায় বৈধতা দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত দু’দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী নাগরিকদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার আহ্বান জানান।

mala3

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও বিশ্লেষণধর্মী উপস্থাপনা করা হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন খাতভিত্তিক উন্নয়ন তুলে ধরা হয়।

এ সময় হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, মিনিস্টার পলিটিক্যাল মো. রইছ হাসান সরোয়ার, ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির, ফার্স্ট সেক্রেটারি (শ্রম) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, পাসপোর্ট ও ভিসা উইং প্রধান মো. মশিউর রহমান তালুকদার, ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মাসুদ হোসাইন, কমার্শিয়াল উইং প্রধান মো. রাজিবুল আহসান, ফার্স্ট সেক্রেটারি তাহমিনা ইয়াছমিন, শ্রম শাখার ২য় সচিব মো. ফরিদ আহমদসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া উন্নয়ন মেলায় প্রবাসী কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মকবুল হোসেন মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না, ওয়াহিদুর রহমান অহিদ, রাশেদ বাদল, কাইয়ূম সরকার, আব্দুল জসিম উদ্দিন চৌধুরী, করিম, মনিরুজ্জামান মনির, মালয়েশিয়া যুবলীগের আহ্বায়ক তাজকীর আহমেদ, মানসুর আল-বাশার সোহেল, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুজ্জামান মিতুল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদ সরকার, শ্রমিকলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সহ সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী।

উন্নয়ন মেলা থেকে দেশের উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্য, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, মেলা থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে টাকা প্রেরণ, ভিসা সেবা প্রদান, বাংলাদেশ বিমানের স্টল থেকে কম মূল্যে টিকেট ক্রয় ইত্যাদি সুবিধা। এ ছাড়া ছোটদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে দিনভর। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম।

এমবিআর/এমএস

আরও পড়ুন