কোরিয়ায় ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা’
দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর আনসান সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল ও আনসান সিটি গভর্নমেন্টের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে কোরীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা, ইপিএস কর্মী, কোরিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ও কোরীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করে।
আনসান সিটির গিয়ংগি টেকনো পার্কে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মেলায় আনসান সিটি গভর্নমেন্টের ভাইস মেয়র জিন সো লি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই উপস্থিত সবার অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক সজ্জা, জাতীয় পতাকার রঙের মিশ্রণে পরিহিত ছায়া টুপি বিভিন্নর রংয়ের ফেস্টুন ও ব্যানার ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
বাংলাদেশ ও কোরিয়ার জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি সার্বিক চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থিত সবার কাছে তুলে ধরেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত ২০২১ ও ২০৪১ সালের মধ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলায় সহযোগিতার জন্য আনসান সিটি মেয়র, ভাইস মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মেলা উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস সিউলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে উৎপাদিত ও রফতানিযোগ্য সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের নকশীকাঁথা, শাড়ি, পাটজাত পণ্য, চা, গার্মেন্ট, মৃৎশিল্পসহ নানা ধরনের সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া পর্যটন বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের তথ্য সরবরাহ ও লিফলেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের প্রাণবন্ত উপস্থাপন করা হয় সেই সঙ্গে উন্নয়ন বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে স্থানীয়দের নিকট উপস্থাপনের লক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয় যা সকলেই উপভোগ করেন।
সবশেষে বাংলাদেশের সুস্বাদু খাবার দিয়ে অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানটি কোরিয়ান নাগরিক ও উপস্থিত বাংলাদেশিদের মধ্য ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়।
এমআরএম