দূতাবাস পাসপোর্ট জব্দ করায় বাংলাদেশির মানবেতর জীবন
কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস পাসপোর্ট জব্দ করায় ১০ মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মোহাম্মদ আলী নামের এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তার পরিবার। পাসপোর্ট ফিরে পেতে পরিবারটি রাজধানী দোহায় স্থানীয় ঢাকা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করেন- তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ে লেনদেনকে কেন্দ্র করে কাতার আদালতে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেয় রহমত উল্ল্যাহ গাজী নামে একজন অসাধু বাংলাদেশি। এছাড়া মোহাম্মদ আলীর নামে বাংলাদেশ দূতাবাসে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এ অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পাসপোর্টটি জব্দ করেছে দূতাবাস।
এছাড়া শাহীন মিয়ার কাছ থেকে পাওনা টাকার চেক ফেরত চাইলে মোহাম্মদ আলীর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় ফোনে হুমকি দিচ্ছে। মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মোবাইলের কল রেকর্ডসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয় জানান। এছাড়া তার স্বামীকে দেশে নিয়ে জঙ্গি মামলা দিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
মোহাম্মদ আলী বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় দেশে আসতে পারছে না তার পরিবার। কাতার আদালতের রায়ে মামলা থেকে খালাস পেলেও দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট ফিরে পাননি মোহাম্মদ আলী।
তিনি আরো বলেন, আমার কোম্পানিতে ২০০ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করে, আমার আরবি স্পন্সর বলেছেন আমাকে যদি দূতাবাস দেশে পাঠিয়ে দেয় তাহলে আরবি স্পন্সর তার ২ কোম্পানি থেকে মোট ৩০০ বাংলাদেশিকে দেশে পাঠিয়ে দেবে।
সম্প্রতি দোহায় স্থানীয় ঢাকা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন মোহাম্মদ আলীসহ তার পরিবার। জব্দকৃত পাসপোর্ট ফিরে পেতে পরিবারটি প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মোহাম্মদ আলীর পিতা মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান, স্ত্রী ঝর্না আকতার এবং তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কথা বলেন গোলাম রাব্বানী। এ সময় কাতার বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম