টেক্সাসে রোবোটিক্স প্রতিযোগিতায় তিন বাংলাদেশি
রোবটের ডিজাইন করায় হলো রোবোটিক্স। মূলত রোবট নির্মাণ, কার্যক্রম ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ করা বোঝায়। সর্বপ্রথম ডিজিটাল ও প্রোগ্রামেবল রোবট আবিষ্কার করেন জর্জ ডেবল। তাকে রোবটিক্সের জনক বলা হয়।
সম্প্রতি আমেরিকার টেক্সাসের হিউস্টনে রোবোটিক্স ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন তিন বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ান নাবিলা আফ্রিদা স্রোতোস্বিনী, অনুসূয়া রায় এবং নাশরাহ সামরিন আলম।
আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় মোট ৭৪টি দেশ অংশগ্রহণ করে। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও মেক্সিকো, তাইওয়ান, ভারত ও ইসরাইলের দল অংশ নেয়।
অস্ট্রেলিয়া থেকে মোট ছয়টি দল অংশ নেয় এবং নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে অংশ নেয় দুটি দল। এ প্রতিযোগিতায় সিডনির ব্লাকটাউন গার্লস হাইস্কুলের দলটিতে ছিল ২২ জন প্রতিযোগী, যাদের সকলেই নারী।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী দলটিতে অংশগ্রহণকারী নাবিলা স্রোতস্বিনী, আনসূয়া রায় ও নাশরাহ আলম এই তিন গৌরবোজ্জল বাংলাদেশি ছাত্রী হিউস্টন ও নাসা থেকে ফিরে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন সংবাদ সম্মেলনে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অনুষ্ঠিত হয় রোবোটিক্স কম্পিটিশন।
এ বিষয়ে নাবিলা বলেন, ‘সিডনির অলিম্পিক পার্কে ৬টি দেশের দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করে আমরা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কোয়ালিফাই হই। এই প্রতিযোগিতার মূল পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় আমেরিকার টেক্সাসের হিউস্টনে।
আনসূয়া বলেন, সেখানে আমাদের তৈরি রোবটটি প্রদর্শনের পর বিচারকদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে স্বর্ণপদক, সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়। তবে আমাদের দল ১৯তম অবস্থানে রয়েছে।
নাশরাহ বলেন, আমাদের তৈরি রোবটটি দূর হতে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অপরদিকে রোবটের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি সরাসরি পর্দায় ভাসবে।
অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের অর্জনে অত্যন্ত খুশী। তারা আশা করেন ভবিষৎতে রোবট আবিষ্কার জগতে নবপ্রজন্ম আরও এগিয়ে যাবে।
সিডনির সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এস বি এস রেডিও বাংলা বিভাগের প্রযোজক ও জন্মভূমি টিভির চেয়ারম্যান আবু রেজা আরেফিন, এস বি এস রেডিও বাংলা বিভাগের আবু তাহির, দেশ বিদেশ পত্রিকার সম্পাদক বদরুল আলম, বিদেশ বাংলা২৪ডটকম-এর সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মতিন, নবধারা নিউজ ডট নেট সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ খোকন, বাংলা কথার সম্পাদক আউয়াল খান ও স্বাধীন কণ্ঠের সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন।
এমআরএম