ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

একুশের চেতনায় দেশ গড়ার আহ্বান

আহমাদুল কবির | প্রকাশিত: ০১:০৭ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

একুশের চেতনায় সম্মিলিতভাবে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার দূতাবাসে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় রাষ্ট্রদূত মুহা. শহীদুল ইসলাম দিনটির স্মরণে পতাকা উত্তোলন করেন।

ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর মালয়েশিয়ার ট্যুরিজম সেন্টারে (মেটিক) হাইকমিশনের অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত মুহা. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব মালয়েশিয়া, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ সব অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এছাড়া চাঁদপুর জেলা সমিতি, যশোর জেলা সমিতি, প্রবাস কথা অনলাইন পোর্টাল, মামা সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও কমিউনিটি সংগঠন, পেশাজীবী প্রবাসী বাঙালিরা শ্রদ্ধা জানায়।

jagonews24

দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের পরিচালনায় একুশের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন এয়ার কমডোর হুমায়ূন কবির, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার রইছ হাসান সারোয়ার এবং প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের শ্রম শাখার ২য় সচিব মো. ফরিদ আহমদ।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাষ্টদূত মুহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, একুশে ভাষার আন্দোলন হলেও প্রকৃত আন্দোলন হলো শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির সম্মিলিত প্রতিবাদ।

তিনি বলেন, হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে এসেছে অমৃত স্বাধীনতা। একুশ বাঙালির চেতনার প্রতীক। মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে সারা দেশে অগণিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং বিদেশে যেখানে বাঙালি আছে সেখানেই গড়ে উঠেছে আমাদের গর্বের প্রতীক শহীদ মিনার।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মাসুদ হোসেন, কমার্শিয়াল উইং মো. রাজিবুল আহসান, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মশিউর রহমান তালুকদার, শ্রম শাখার প্রথম সচিব হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, প্রথম সচিব তাহমিনা ইয়াছমিন, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগসহ দলের অঙ্গ-সংগঠন ও ইলেক্ট্রনিকস/ প্রিন্ট মিডিয়া, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

এমআরএম

আরও পড়ুন