‘আরও উন্নত হলেই চলবে নিউ ইয়র্ক-ঢাকা বিমান'
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের দাবি নিউ ইয়র্ক-ঢাকা বিমান চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিমানের যে সর্বনাশ সেটা বিএনপি করে গেছে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে লোকসান দেখিয়ে বিমানকে ধংস করেছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে চলাচলের অনুপযোগী মাত্র দুটি বিমান ছিল। আমরা নিউ ইয়র্ক-ঢাকা বিমান চালুর ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত দুবছর আগে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউ ইয়র্ক-ঢাকা বিমান চালুর আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রবাসীদের। সেই সূত্র ধরে নিউ ইয়র্ক-ঢাকা বিমান চালুর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, '৯৬ সালের আগে যদি কারো কাছে বিমানবন্দরের কোনো ছবি থাকে তাহলে একটু দেখে নেবেন ওই সময়ের বিমানবন্দরের অবস্থা কতটা শোচনীয় ছিল। একটা বোর্ডিং ব্রিজও ছিল না ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কিন্তু এখন সবকিছুই ঠিক করা হয়েছে। নতুন বিমানও কেনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো 'চোরাকারবারিরা' বা 'ক্যাসিনো বাবুরা যখন ক্ষমতায় আসে এবং মন্ত্রী হয় তখন অবস্থাটা কি হতে পারে তা একবার ভেবে দেখুন। তাছাড়া বিএনপির মন্ত্রী সাইফুর রহমানের একজন খাস ব্যক্তি নিউ ইয়র্কের বিমানের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিমানের প্রায় ১০ কোটি টাকা মেরে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি যখন ক্ষমতায় আসি দেখি হিসাব নেই। কথায় আছে কাজীর গরু খাতায় আছে গোয়ালে নাই- এই অবস্থা ছিল। কেউ একটা পয়সাও দেয়নি সব চুরি করে নিয়ে গেছে। যার ফলে নিউ ইয়র্কে বিমান আসা বন্ধ হয়েছে। আমরা সব কিছু আইন মেনে বিমানকে একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আনার ব্যাপারে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছি।
এ দেশের সকল শর্ত মেনে যখন বিমানকে আরও উন্নত করতে পারব, তখনই হয়তো-বা নিউ ইয়র্কে বিমান আবার চালুর সম্ভাবনা থাকবে। এতে আরও সময় লাগবে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিমানের স্লট পাওয়ায় জন্য বাংলাদেশ বিমানও চেষ্টা চালাচ্ছেন। বর্তমান সরকার বিমান চালুর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এমআরএম/জেআইএম